স্কুল শিক্ষিকার সঙ্গে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ মান্নানের পরকীয়া ও দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনায় তোলপাড় চলছে ফতুল্লা তথা নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা জুড়ে। কিন্তু মজার বিষয় হলো, যে স্কুল শিক্ষিকাকে বাগিয়ে নিয়ে মান্নান বিয়ে করেছেন সেই শিক্ষিকার বাবার সঙ্গে মান্নানের ‘সাপে নেউলে’ সম্পর্ক। মানে, বাবার সঙ্গে বিরোধ মেয়ের সঙ্গে পিরিতি। মান্নান নিজেও স্বীকার করেছেন, ওই শিক্ষিকাকে তিনি ছোটবেলা থেকেই পছন্দ করতেন।
এদিকে মান্নানের নারী ক্যালেংকারীর ঘটনায় ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। যদিও থানা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবেন। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত সাংগঠনিক ব্যবস্থা তারা নিতে পারেন কি না।
ওদিকে ঘটনার সত্যতা ও ঘটনাটি প্রচার পাওয়ায় সোমবার (৭ আগস্ট) মুসলিনগর কেএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ থেকে এম এ মান্নানকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের তথ্যমতে, এম এ মান্নান ও শিক্ষিকা ফওজিয়া আক্তার দুলারী দীর্ঘদিন ধরেই পরকীয়ায় আসক্ত ছিলেন। বিশ বছর পূর্বে নারায়ণগঞ্জ কোর্টের একজন আইনজীবীর সাথে ফওজিয়ার বিয়ে হলেও সে ছিলো নি:সন্তান। কিন্তু মান্নানের ঘরে স্ত্রী সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি মান্নান হজ¦ করতে সৌদী আরব গিয়েছিলেন। হজ¦ থেকে ফিরেই ফওজিয়াকে নিয়ে পালিয়ে যান। তাই এটা নিয়ে গোটা মুসলিম নগর এবং আশপাশের এলাকায় তুমুল আলোচনা সমালোচনা চলছে।
এদিকে ফওজিয়ার পিতা সাবেক মেম্বার এবং মুসলিমনগর পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি ফজলুল হকও ওরফে ফজলা ওই এলাকার একজন অত্যাচারী ব্যাক্তি হিসাবে পরিচিত। ভিলেজ পলিটিক্সে স্বিদ্ধহস্ত এই ফজলার কাছে ন্যায় বিচার বলে কিছু নেই বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার সাধারন মানুষ। এলাকার নব্বই শতাংশ মানুষ এই ফজলার দ্বারা নানা ভাবে নাজেহাল হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার মানুষ। বিশেষ করে জমিজমা নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে বিরোধের সৃষ্টি করে আবার তিনিই বিচার শালিশের নামে অবিচারে লিপ্ত ছিলেন ফজলা মেম্বার। সম্প্রতি সে ওই এলাকার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগেরও সভাপতি নির্বাচিত হন। তাই গ্রামে ফজলার দাপট আরো বেড়ে যায়। এলাকাবাসী আরো জানায়, ফজলা তার আরো কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গকে সাথে নিয়ে মুসলিম নগর এলাকায় একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। এই সিন্ডিকেটের সদস্যদের অত্যাচারে গোটা গ্রামবাসী একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কিন্তু মজার বিষয় হলো, ফজলার মেয়ে ফওজিয়ার সাথে এম এ মান্নান পরকিয়া প্রেমে লিপ্ত থাকলেও মান্নান আর ফজলার মাঝে বিরোধ চোখে পড়ার মতো। তারা একে অপরকে সহ্য করতে পারেন না বলেই এলাকাবাসী জানায়। তাই এই মুহুর্তে মান্নান তার মেয়েকে বাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করায় পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার বিষয়।
ওদিকে মান্নান একদিকে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অন্যদিকে মুসলিনগর কেএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি থাকা অবস্থায় একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকার সঙ্গে পরকীয়া করেছেন বছরের পর বছর ধরে। যান ভালো চোখে নিচ্ছেন না স্থানীয় লোকজন। তারা বলছেন, এম এ মান্নান ক্ষমতাসীন দলের লোক হওয়ায় হয়তো পার পেয়ে যাবেন। ইতমধ্যে তিনি এবং তার পক্ষে একটি মহল মাঠে নেমেছে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে। কিন্তু এলাককার মানুষের মুখে মুখে মান্নানের নারী কেলেঙ্ককারীর কথা।