বছরের প্রথম দিন শনিবার (১ জানুয়ারী) সকালে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) আয়োজিত ২৬ তম আসরের আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাণিজ্য মেলার সার্বিক সাফল্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই মেলা দেশি-বিদেশী উদ্যোক্তাদের পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা এবং নতুন উদ্ভাবন সম্পর্কে ক্রেতাদের অবহিত করার সুযোগ সৃষ্টি করবে। ক্রেতারাও এ বৃহৎ আয়োজন থেকে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে পণ্য ক্রয়ের সুবিধা পাবেন।
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন রয়েছ সেখানে থাকছে মুজিববর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ। এই প্যাভিলিয়নের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অবদান। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক জানা যাবে। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মভিত্তিক বিভিন্ন আলোকচিত্র প্রদর্শন ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হবে।
বাণিজ্য মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল এবং ১৫টি ফুড স্টল দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা অন্য বছরের তুলনায় অর্ধেক। মেলায় মাত্র ১১টি বিদেশি স্টল থাকছে। মেলায় দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিক্স অ্যান্ড বিউটিএইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স পণ্য, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসামগ্রী, জুতা ও চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস আইটেম, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হস্তশিল্প পণ্যসহ হোম ডেকর পণ্য মেলায় প্রদর্শন করা হবে।
নিরাপত্তা অগ্রাধিকার বিবেচনায় এক্সিবিশন সেন্টারে বিল্ট ইন ১৬০টি সিসিটিভি থাকছে। অতিরিক্ত ৬০টি সিসিটিভি ক্যামেরা মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করা হয়েছে। মেলার প্রবেশ গেটে পর্যাপ্ত মেটাল ডিটেক্টরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মেলায় সার্বক্ষণিক ফায়ার ব্রিগেড নিয়োজিত থাকবে।
এক্সিবিশন সেন্টারের ভেতরে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ৫০০ আসনবিশিষ্ট একটি ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনা করা হবে। মেলায় একটি অস্থায়ী সচিবালয় থাকছে। যেখান থেকে মেলার সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং করা হবে। দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে তথ্যকেন্দ্র।
এছাড়া, বেশ কয়েকটি ব্যাংক বুথ স্থাপন করা হয়েছে। মেলায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে। মেলায় ২টি মা ও শিশু কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে। প্রবেশ মূল্য ধরা হয়েছে প্রাপ্ত বয়ষ্কদের জন্য ৪০ ও অপ্রাপ্তবয়ষ্কদের জন্য ২০ টাকা।
মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে নিয়মিত কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি’র ৩০টি বাস চলবে। মতিঝিল ও মিরপুর থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি’র বাস চলবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি তার বক্তব্যে বলেন, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হয়েছে। স্টল কমিয়ে খালি জায়গা বেশি রাখা হয়েছে। করোনার কারণে অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান এবারের মেলায় আসেনি।