শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন

বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ, স্থিতিশীল গরু-খাসি-মুরগি

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ২.১১ পিএম
  • ০ বার পড়া হয়েছে

বাজারে গরু, খাসির মাংস ও মুরগির দাম স্থিতিশীল থাকলেও আগের সেই বাড়তি দামেই আটকে আছে সব ধরনের মাছ। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা চলতে থাকায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, মাছের ফিডের দাম বৃদ্ধির পর থেকেই বাজারে সব ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে একটু বেশি দামে, যা আর কমেনি।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে মাংস, মুরগি, মাছের দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।

আজকের বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়, সোনালির কেজি ২৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০, কক ৩০০ টাকা কেজি। পাশাপাশি দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বাজার ভেদে ৭৫০ টাকা থেকে ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।

তবে বাজারে সব ধরনের মাছ বাড়তি দামেই আটকে আছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি চাষের কই বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়, পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, শিং ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, কাঁতল ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা, গলসা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া রুই প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা, রুপচাঁদা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর মহাখালী বাজারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী শহীদুজ্জামান মীর। মাছের বাড়তি দামের বিষয়ে তিনি বলেন, মাছে ভাতে বাঙালি সেই কথা আর নেই। এখন বাজারে সবচেয়ে বেশি দাম মাছের। সাধারণ ক্রেতারা দুই একটি কমদামি মাছ ছাড়া, অন্য কোনো মাছ এখন আর কিনতে পারে না। কমদামি মাছ বলতে চাষের কই, পাঙাশ, তেলাপিয়া। তবে এসব মাছেরও এখন দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি। এগুলো ছাড়া অন্য কোনো ধরনের ভালো মাছ কেনার সামর্থ্য আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের নেই। তাই ঘুরে ফিরে প্রতি সপ্তাহে এ ধরনের মাছই আমরা কিনি।

রাজধানীর মগবাজারের আরেক ক্রেতা মোজাম্মেল হক বলেন, আজ দীর্ঘদিন ধরে মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম চেয়ে বসে থাকে। মাছের দাম যে এত বাড়তি, তবুও সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে কোনো বাজার মনিটরিং, নিয়ন্ত্রণ, উদ্যোগ গ্রহণ করা কিছুই চোখে পড়ে না। বছরের পর বছর মাছের দাম এমন বাড়তি যাচ্ছে কিন্তু কেউ, এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। বাজারে এমন কোনো মাছ নেই যার দাম বাড়তি না। গরুর মাংস খাওয়া যেমনি মানুষ বাদ দিয়েছে, তেমনি এত বেশি দাম হলে সাধারণ মানুষ মাছও খেতে পারবে না।

মাছের বাড়তি দাম বিষয়ে রাজধানীর শান্তিনগর বাজারের মাছ বিক্রেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, আসলে যখন থেকে মাছের খাবারের দাম বেড়েছে, তখন থেকেই মাছের দাম বাড়তি। এরপর থেকে সেভাবে আর দাম কমেনি। অল্প কিছু দাম ওঠানামা করে পাইকারি বাজারে। সেক্ষেত্রে আমরা যখন যেদিন যে দামে মাছ কিনতে পারি, খুচরা বাজারে একটু লাভ রেখে তেমন দামেই বিক্রি করি। পাইকারি বাজার থেকে মাছ কেনার পর বাজার খরচ, পরিবহন খরচ, লেবার খরচ, দোকান ভাড়া সবকিছুর সঙ্গে সমন্বয় করে পাইকারি বাজারের যে কিছুটা বেশি দামে আমরা খুচরা বাজারে বিক্রি করি। মূলত মাছ চাষি পর্যায়ে মাছের উৎপাদন খরচ বেড়েছে, যে কারণে তারা আগের চেয়ে বেশি দামে বাজারে বিক্রি করছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। আমরা যদি পাইকারি বাজার থেকে কম দামে মাছ কিনতে পারি, তাহলে খুচরা বাজারেও কম দামে মাছ বিক্রি করতে পারব। (সূত্র: ঢাকা পোস্ট)

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort