নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এটা অত্যন্ত আনন্দের যে আমরা বাংলাদেশে সব ধরণের নৌযান তৈরি করতে সামর্থ্য অর্জন করেছি। কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডে আমরা অনেকগুলো জাহাজ দেখলাম। যেই শিপইয়ার্ডগুলো থেকে বাংলাদেশ সরকার এ ধরণের ড্রেজার সংগ্রহ করছে। মোট ৩৫টি ড্রেজার আমাদের প্রকল্পের মধ্যে আছে।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় বিআইডব্লিউটিএর জন্য চারটি কাটার সাকশান ড্রেজার এবং মোংলা বন্দরের জন্য একটি বয়া লিফটিং জাহাজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের উদ্যোগে এই কাটার সাকশান ড্রেজার ও বয়া লিফটিং জাহাজ নির্মাণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা প্যাসেঞ্জার ভেসেল, ক্রুজ ভেসেল করছি। বাংলাদেশে আগে কখনো ক্রুজ ভেসেল ছিল না। এই প্রথমবারের মতো তিনটি ক্রুজ ভেসেল বিআইডব্লিউটিসি এই কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের মাধ্যমে নির্মাণ করছে। যেটা বাংলাদেশের বিরাট একটা অর্জন হতে যাচ্ছে। আমরা বাংলাদেশ এবং ভারতে ঢাকা-কলকাতা ক্রুজ চালু করেছিলাম। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, সেটা একটি লঞ্চ দিয়ে আমাদের চালু করতে হয়েছে। আমাদের কোনো ক্রু ছিল না। আমরা সেটা অর্জন করতে যাচ্ছি।
তিনি বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের জন্য বাংলাদেশে হরতাল হচ্ছে। আমরা দেখে এলাম ইউরোপে এক কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। এক লিটার ডিজেলের দাম ২২০ টাকা এবং এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ফ্রান্সের মার্কেটে ৩০০ টাকার ওপরে। এপ্রিল মাসে ব্রিটিশ সরকার ৫৫ শতাংশ গ্যাস ও বিত্যুতের দাম বাড়াবে। এরই মধ্যে এটি তারা ঘোষণা করেছে। আমরা ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করেছিলাম। সেখানে কত ধরনের সমালোচনা হয়েছে।
এ কোভিড সমগ্র পৃথিবীকে উলট-পালট করে দিয়েছে। শুধু বাংলাদেশের কিছু সমালোচক মনে করে পৃথিবীতে এত বড় মহামারি হয়নি। সমগ্র পৃথিবীর অর্থনীতি কোন জায়গায় চলে গেছে সেখানে বাংলাদেশের অর্থনীতি কিন্তুথেমে যায়নি। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, আমরা জানি জিনিসপত্রের দাম হুহু কওে বেড়ে যাচ্ছে।
যেই জিনিস আমরা ১০০ টাকায় কিনেছি, আন্তর্জাতিক বাজারে সেই জিনিসের দাম ৩০০ টাকা হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরও আমাদের উৎপাদন, উন্নয়ন কাজ কোনো সেক্টরেই বন্ধ হয়নি। এটা সম্ভব হয়েছে শুধু আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পরিচালনা করছে বলে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষেও চেয়ারম্যান অ্যাডমিরাল মো. মুসা এবং অতিথি হিসেবে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান আহমদ শামীম আল রাজী ও বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন।