সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে বাঁধ ভেঙে হুরামন্দিরা হাওরে পানি প্রবেশ করছে। এ ছাড়া পাহাড়ি ঢলে হাওরে পানি ছুঁই ছুঁই করছে। যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে হাওর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে প্রশাসন ও পাউবো।
রোববার (১৭ এপ্রিল) রাতে উপজেলার জগদল ইউনিয়নের হুরামন্দিরা হাওরের সাতবিলা সুইস গেইট এলাকার বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি প্রবেশ করে।
এমতাবস্থায় জনসাধারণসহ সবাইকে আগামী ২৪ ঘণ্টা হাওরের বাঁধ রক্ষায় পাহারা দেওয়ার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
দিরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাহিদুল ইসলাম বাঁধ ভাঙার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাতে হাওরের বাঁধ ভেঙে পানি ডুকছে। কৃষকসহ সকলের চেষ্টা ব্যর্থ করে রাতে বাঁধ ভেঙে গেছে।
এ হাওরে এক হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে যাবে বলে তিনি জানান।
জানা গেছে, সকালে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের বর্ধিত গুরমার হাওর বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে। এরপর নিমিষেই তলিয়ে যাচ্ছে হাওর। এ হাওর তলিয়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের হুরামন্দিরা হাওরের সাতবিলা সুইস গেইট এলাকার বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি প্রবেশ করছে। এনিয়ে জেলার দিরাই, শাল্লা, ধর্মপাশাসহ সাতটি উপজেলার ১৭টি বাঁধ ভেঙে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমি তলিয়ে গেছে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা বিপজ্জনক সময় পারছি। জেলার সবকটি হাওরে পানিতে ভর্তি, বাঁধে ছুঁই ছুঁই করছে। সব হাওরে পানির চাপ বেশি। টাঙ্গুয়ার হাওর ও যাদুকাটা নদীর পানি নামার সুযোগ পাচ্ছে না। ভাটির পানিও সুনামগঞ্জে চাপ দিচ্ছে। এতে করে হাওর খুবই ঝুঁকিতে আছে। তাই জেলার সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে হাওর রক্ষায় বাঁধ পাহারা দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।