সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী লেবাননের সঙ্গে দারুণ লড়াই করেও হেরে যায় বাংলাদেশ। বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপে আজ মালদ্বীপের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচটি ছিল বাঁচা-মরার। বিকেলে সেই ম্যাচে মালদ্বীকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশ। পরবর্তী ম্যাচে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ ভুটানকে হারাতে পারলে সেমিফাইনালের টিকিট পাবে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
মালদ্বীপের বিপক্ষে এদিন ভালো খেলেও শুরুতেই গোল হজম করে জামালবাহিনী। এরপর রাকিব হোসেন, তারিক কাজী ও শেখ মোরসালিনের গোলে ৩-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। যা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মালদ্বীপের বিপক্ষে ২০ বছর পর পাওয়া জয়। এর আগে সবশেষ ২০১৩ সালে সাফে মালদ্বীপের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
এদিন শুরু থেকেই মালদ্বীপের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলতে থাকে জামাল-রাকিবরা। কিন্তু ১৮ মিনিটে গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে। এ সময় বাঁকানো এক শটে দারুণ গোল করে মালদ্বীপকে এগিয়ে দেন মোহাম্মদ হামজা।
গোল হজম করে শোধ দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন তারিক-রাকিবরা। চেষ্টা চালাতে থাকেন প্রাণান্তকর। ৪২ মিনিটের মাথায় গিয়ে ফেরায় সমতা। এ সময় থ্রো ইন পায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে বিশ্বনাথের ছুড়ে মারা বল পান সোহেল রানা। তিনি ক্রসে বাড়িয়ে দেন তপু বর্মনের দিকে। আর তপু হেড নেন। তার হেড যায় বামদিকে থাকা রাকিবের কাছে। তিনিও সেটাতে দারুণ হেড নিয়ে জালে জড়ান।
বিরতির পর ৬৭ মিনিটে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন তারিক কাজী। এ সময় জটলার মাঝে বল পেয়ে যান তিনি। এরপর মালদ্বীপের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়াতে ভুল করেন প্রথম ম্যাচে ভুল করা তারিক। তাতে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ২-১ গোলে।
৯০ মিনিটের মাথায় আরও একটি গোল করে বাংলাদেশ। এ সময় মিডফিল্ডার শেখ মোরসালিন মালদ্বীপের গোলরক্ষককে একা পেয়ে রক্ষণভাগের খেলোয়াড়কে কাটিয়ে আঁড়াআড়ি শটে বল জালে পাঠান। তাতে বাংলাদেশ পায় ৩-১ ব্যবধানের স্বস্তির জয়।
গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে বুধবার রাতে (বাংলাদেশ সময় ৮টা) ভুটানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। যারা প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে। আজ রাতে শক্তিশালী লেবাননের মুখোমুখি হবে। এই ম্যাচে ভুটান হারলে বাংলাদেশের সেমিফাইনালের পথ আরও অনেকখানি উন্মুক্ত হবে।