ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের করা মামলায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বিমানবন্দরে গ্রেফতারের সময়ের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেছেন, তিনি সেসময় পুলিশ সদস্যদের জানিয়েছিলেন যে তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। কিন্তু তারপরও পুলিশ সদস্যরা তাকে বলেছেন, এভাবেই যেতে হবে।
শনিবার (১৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুর চন্দনা চৌরাস্তা ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের তার স্বামী রকিব সরকারের ‘সনি রাজ কার সেন্টার’-এর সামনে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
জামিন পাওয়ায় মাহিয়া মাহি বিচার বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন। তবে পুলিশের আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘আমার সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, মনে হয়েছে আমি একজন যুদ্ধাপরাধী। আমাকে যখন গ্রেফতার করা হলো, আমাকে কারও সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। আমাকে যখন নিয়ে আসা হয়, তখন পুলিশ সদস্যরা ওয়্যারলেসেও কথা বলছিল না। আমি কি এত বড় আসামি হয়ে গেছি?’
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি লাইভ করেছি, একজনের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। কিন্তু আমিতো কোনও রাষ্ট্রদ্রোহী না। আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘এই যে আমার সারাদিনের জার্নি, কারাগার পর্যন্ত পৌঁছানো- আমি ভীত। আমি মাহিয়া মাহি, একজন পরিচিত মুখ হওয়ার পর আমাকে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। একটা গাড়িতে আমাকে আনা হয়েছে, সেটাতে তীব্র গরম। আমি বারবার বলছিলাম, আমার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তারা বলছে, এভাবেই যেতে হবে। আমি একটু ঠান্ডা পানি চেয়েছিলাম। কারণ আমি গরমে অনেক তৃষ্ণার্ত ছিলাম, এক বোতল পানি এনে দিতে তারা এক ঘণ্টা নিয়েছে।’