ভাটিতে পানির টান না থাকায় সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বন্যার পানি ধীর গতিতে কমছে আর জনদূর্ভোগ ক্রমশ বাড়ছে। পর পর তিন দফা সর্বনাশা বন্যায় ঝরে গেল তিন শিক্ষার্থী ও মহিলাসহ ১৪টি তাজা প্রাণ, ভেসে গেল ৫ সহস্রাধিক মৎস্য খামার ও পুকুরের মাছ, গবাদি পশু, ধান-চাল, কাঠখড়ি, থালাবাসন ও আসবাবপত্রসহ কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
উপজেলার প্রতিটি রাস্তা, মাঠঘাটের বেহাল দশায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন পেশাজীবীরা।
অপরদিকে বিধস্ত হওয়া জরাজীর্ণ বাড়িঘর সংস্কার করা তো দূরের কথা এ মূহুর্তে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকাটাই জরুরি। তবে সরকারি ও বেসরকারি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকায় হতদরিদ্র ও নিন্মে আয়ের পরিবারগুলো বন্যার রেশ কাটিয়ে উঠলেও বড়ই বিপাকে পড়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। আত্মসম্মান ও লোকলজ্জায় মুখ খুলছেন না তারা। কারো মুখাপেক্ষি না হয়ে অনাহারে অর্ধাহারে পরিবার পরিজন নিয়ে নিরবে দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা।
বন্যা পরবর্তী কৃষি পূনর্বাসনের জন্য নিামূল্যে ধানের চারা, বীজ ও কষি ভর্তুকি প্রদানের দাবি জানান ভূক্তভোগী কৃষি পরিবারগুলো।
এ ছাড়া বকেয়া কৃষিঋণ মওকুফ করে বিনা সুদে নতুন ঋণ প্রদান, মৎস্যজীবী ও খামারীসহ ক্ষতিগ্রস্ত মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে গৃহনির্মাণ বাবদ বিনা সুদে চাহিদামাফিক ঋণ বিতরণে বারবার নির্বাচিত স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক মহোদয়ের মাধ্যমে কৃষিবান্ধব সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন অভিজ্ঞজনরা।
দোয়ারাবাজারের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ উন্নতি হলেও দূর্গত এলাকায় বানভাসিদের মধ্যে পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন, শুকনো খাবারসহ প্রয়াজনীয় ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও বেসরকারি সংগঠনগুলোও বানভাসিদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বন্যা পরবর্তী পূনর্বাসনে তালিকা প্রণয়নের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে তা কার্যকর হবে বলে তিনি জানান।