নোয়াখালী সদর উপজেলায় বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী গৃহবধূ (২৫)। রোববার রাতে সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ইব্রাহিম মেম্বারের মৎস্য খামারে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সোমবার নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় চারজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি ওই গৃহবধূর বন্ধু রাকিবকে (২৫) গ্রেফতার করেছে। পুলিশ গৃহবধূকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পৌরসভার বাসিন্দা ওই গৃহবধূর সঙ্গে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চররমিজ গ্রামের আনোয়ারুল হকের ছেলে মো. রাকিবের (২৫) পূর্ব পরিচয় ছিল। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরে রাকিব ওই গৃহবধূকে নিয়ে রোববার বিকালে নোয়াখালী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ধর্মপুরে ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্কে বেড়াতে যান।
দিনভর ঘুরে মাগরিবের নামাজের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাকিব ওই নারীকে নিয়ে পার্ক থেকে বের হয়ে ধর্মপুর গ্রামের ইব্রাহিম মেম্বারের মৎস্য প্রকল্পে নিয়ে যান। সেখানে প্রথমে রাকিব তাকে কয়েক দফা ধর্ষণ করেন। এরপর রাকিবের বন্ধু মামুন (২৫), জুয়েল (২৭), সাইফ উদ্দিন (২৮) ওই তরুণীকে পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং অভিযান চালিয়ে রাকিবকে আটক করে।
সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. শাহেদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষণের শিকার নারী ও তার কথিত বন্ধু উভয়ে বিবাহিত। তারা পরকীয়া প্রেম করছিল। ওই প্রেমের সূত্র ধরে রাকিব নারীকে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে তার তিন বন্ধুসহ পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ওসি সাহেদ বলেন, এ ঘটনায় ওই নারী চারজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ নারীর অভিযোগটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা হিসেবে রেকর্ড করেছে। মামলার প্রধান আসামি রাকিবকে গ্রেফতার করে সোমবারই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি তিন আসামিকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।