বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সেবা ভেঙ্গে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা ভূক্তভোগী রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মেহেবুবা সাঈদের চরম উদাসিনতা ও সেচ্ছাচারিতা ও অবেবস্থাপনার কারনে আজ এ অবস্থা দাড়িয়েছে।
নবীগঞ্জ কুশিয়ারা এলাকা থেকে আগত হাসিনা বেগম নামে ভূক্তভোগী রোগী জানান, চিকিৎসা সেবা বলতে কিছু নেই বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ডাক্তার আসেন নিজের ইচ্ছে মত। চলে যান নিজের খেয়াল খুশি মত । অফিসে আসা যাওয়ার সময় সূচি না মানায় ভেঙ্গে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা।
অন্যাদিকে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারন রোগীরা। দালালদের কাছে টাকা দিলে পাওয়া যায় সব রকমের সেবা।
এলাকাবাসীর তথ্যমতে, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটিতে নিয়মিত থাকে না ডাক্তার। পাওয়া যায় না প্রয়োজনীয় ওষূধ। স্বাস্থ্য পরিবার পরিকলল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মেহেবুবা সাঈদ হাসপাতালে আসে ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে দেড় ঘন্টা হাসপাতালে থেকে আড়াইটা বাজে সে আবার ঢাকা বাড়ী উদ্দেশ্যে যাত্রা করছে।
নিয়মিত দক্ষ ডাক্তার বা নার্স না থাকায় সাধারণ কাটা ছেঁড়া কিংবা ইনজেকশন পুশ করছে হাসপাতালে কর্মরত বাবুর্চি গনী ও নাইটর্গাড নয়ন ও রফিক। ফলে ঠান্ডা, সর্দি জ্বর, ফোঁড়া, খোস পাচড়াসহ সাধারণ রোগের চিকিৎসার জন্য দ্বারস্থ হতে হয় শহরের কোন কিনিক বা হাসপাতালের।
সাধারণ অসুখের চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের কোন চিকিৎসা না দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয় (রেফার্ড) শহরের কোন কিনিকে। হাসপাতালটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হলেও চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় রোগীরা এখানে ভর্তি হননা। হাসপাতালের সবগুলো শয্যাই খালি পড়ে থাকে।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা। এ সময় ডিউটি ডাক্তার ছাড়া কোন ডাক্তারকে পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কক্ষ তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা গেছে। তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপরে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মশিউর রহমান জানান, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি এটাকে গুরুত্বসহকারে দেখছি। যদি এতে কোন ডাক্তারের অবহেলা পাওয়া যায় তবে তার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।