ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের কার্যালয় বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জাকির হোসেন পনিরের বিরুদ্ধে। বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পনির স্থানীয় পোকন মিয়া ওরফে পোকার কাছে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে।
মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়কের দুই পাশের কাজ করার অজুহাতে কার্যালয়টি বিক্রি করে দিয়েছে। বন্দরের নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে পনিরের বাড়ির পূর্ব পাশেই ছিল বন্দর ইউনিয়ন আ’লীগ কার্যালয়টি। এ ঘটনায় এলাকায় দেখা মিলেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
সূত্র মতে, সরকারের বিশেষ বরাদ্ধের টাকা দিয়ে প্রায় ৩/৪ বছর পূর্বে নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয় নির্মান করেন। কার্যালয়টি নির্মানের পর উদ্বোধন পূর্বক সাইনবোর্ড সাটিয়ে দেয়। তবে সেই সাইনবোর্ডটি বেশিদিন ছিল না।
সুচারু ভাবে গোপনে সাইনবোর্ডটি সড়িয়ে স্থানীয় শাহজাহান মিয়ার কাছে মোটা অংকের টাকা অগ্রিম নিয়ে মাসিক ৫ হাজার টাকা নির্ধারন করে ভাড়া দেন। উপজেলা প্রশাসনের বিশেষ বরাদ্ধে নির্মিত দলীয় কার্যালয় হয়ে যান ‘টিন’ বিক্রির দোকান।
এমন প্রতারনা করলেও পনিরের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। কারণ তিনি নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমানের অনুসারী নেতা। জাকির হোসেন পনির বন্দর ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারন সম্পাদক আবার শামীম ওসমানের অনেক কাছের লোক পরিচয়ে বনে যান। যদিও তার নেই তেমন কোন কর্মী বাহিনী।
তারপরও বিশাল দাপটে নেতার প্রভাব দেখান। যার পারিবারিক রাজনৈতিক চিত্র কিন্তু উল্টো। তার ভাই বিএনপির এক সময়ের ত্রাস পুতুল। বন্দরের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিএনপির নেতাদের মধ্যে পুতুল ছিলেন অন্যতম। চারদলীয়জোট সরকারের পর আত্নগোপনে গিয়ে বিদেশে পাড়ি জমান। যে পুতুল এখনও দেশে স্থানীয় হতে পারেননি।
যদিও মাঝে মধ্যে গোপনে দেশে আসলেও প্রকাশ্য দেখা মিলেনি। জাকির হোসেন পনির, তার ভাই পুতুল, রোমান। নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের একাংশ চলে বিএনপির রোমান মিয়ার মাধ্যমে। নবীগঞ্জ স্ট্যান্ডের মদনপুর গামী সিএনজি, অটোরিকশা, মিশুক গাড়ীর নিয়ন্ত্রক রোমান।
জেলার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী জাকির খান (বর্তমানে জেল হাজতে) এর আত্নীয়ও পনিরের পরিবার। যার পরিবারের অধিকাংশ বিএনপির রাজনীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত তার দ্বারা এর চেয়ে ভাল কিছু আওয়ামীলীগ আশা করে কিভাবে এমনই ভাষ্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীরা জানান।
রাস্তা চাওড়া করার অজুহাতে দলীয় ক্লাবটি জাকির হোসেন পনির কিভাবে একক সিদ্ধান্তে বিক্রি করেন। তারচেয়ে বড় বিষয় উদ্বোধনের কিছুদিনের মধ্যেই ক্লাবটি টিন বিক্রির দোকান হয়েছে। দোকানের অগ্রিম বাবদ নেয়া টাকা, মাসিক ভাড়ার এতদিনের টাকাসহ বিক্রির ৪০ হাজার টাকাও কি ঘায়েব করে দিবেন জাকির হোসেন পনির।
বিষয়টি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ রশিদের জরুরি এবং কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী ত্যাগী তৃনমুলের নেতাকর্মীরা
এ বিষয়ে জাকির হোসেন পনিরের মুঠোফোন নাম্বারে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।