এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বন্দরে এবার বেশ কয়েটি স্কুলে ফলাফল বিপর্যয়ে শিক্ষার মান নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এদের মধ্যে আলোচিত ৪টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা ফলাফল অনেক খারাপ করেছে।
এতে অভিভাবক মহল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা সমালোচন ও নানা মন্তব্যে ঝড় বইছে।
জানাগেছে, বন্দর উপজেলায় ২৩টি স্কুলের মধ্যে ২৩তম হয়েছে সিকদার আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয়। এ স্কুল থেকে ৬২জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করে মাত্র ২৫জন বাকি ৩৭জন ফেল করে। এ স্কুলের পাশের হার ৪০.৩২ শতাংশ।
২২তম হয়ে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী মডার্ণ একাডেমী। এ স্কুল থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৬৮জন এর মধ্যে পাশ করে ৪০জন বাকি ২৮জন ফেল করে। এ স্কুলের পাশের হার ৫৮.৮২ শতাং।
২১তম হয় নাসিম ওসমান মডেল একাডেমী। এ স্কুল থেকে ৯৪জন প্ররীক্ষা দিয়ে পাশ করে ৫৮জন বাকি ৩৬জন ফেল করে। এ স্কুলে পাশের হার ৬৩.০৪ শতাংশ।
বন্দরের ঐতিহ্যবাহী নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ২০তম হয়েছে । এ বিদ্যালয় থেকে ২২০জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ১৪৪জন পাশ করে বাকি ৭৬জনই ফেল করেছে। এ স্কুলের পাশের হার ৬৫.৪৫ শতাংশ।
এদিকে নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে ফেসবুকে নানা জন নানা কমান্ড করতে শুরু করেছে। একজন লিখেছেন অদক্ষ শিক্ষক দিয়ে স্কুল পরিচালনা করলে শিক্ষার মান আরো নিচে নেমে আসবে।
এ স্কুলের শিক্ষকরা ক্লাস না করে বেশী সময় পার করে নিজেরা পিকনিক করে। অদক্ষ প্রশাসনিক কার্যক্রম।
আরও একজন লিখেছে কোচিংয়ের টাকার জন্য স্কুলের প্রশসন বেপরোয়া হয়ে উঠে। কিন্তু তাদের শিক্ষাদানে অনিহার কারনে আজকের এই অবস্থা। তারা ৬ মাসের কোচিংয়ের টাকা অগ্রিম নিলেও শিক্ষার্থীরা কিছুই শিখতে পারেনি।
অনেকে বলেন কোচিংয়ের টাকা নিলেও মূলত কোচিং তেমন করানো হয়নি। স্কুলের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককের স্কুলের প্রতি কোন দরদ নেই। যার কারনে আজকের এই অবস্থায় এসে দাঁিড়য়েছে।
এদিকে অভিভাবকরা বলেন, এ স্কুলটি এক সময় শিক্ষার মান অনেক ভাল ছিল। বর্তমান প্রধান শিক্ষক স্কুলের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে শিক্ষার মান দিন দিন নিচে নেমে আসছে।
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিভাবক বলেন, প্রধান শিক্ষক নিজেকে অনেক পাওয়াফুল মনে করেন। তিনি শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও অভিবাবকদের সাথে খারাপ আচরন করে।
শুধু তাই নয় তিনি স্কুলে রাজনৈকি প্রভাব বিস্তার করে রাখে। এক সময় তিনি কোচিংয়ের টাকার জন্য পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে বের করে দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
একটি অনুষ্ঠানে এমপি সেলিম ওসমান প্রধান শিক্ষককে নিজের মেয়ে বলে আখ্যায়িত করার পর তিনি অনেক বেপরোয়া হয়ে উঠে। শিক্ষার মান উন্নয়নে এমপি সেলিম ওসমান এ স্কুলের প্রতি আলাদা নজর রয়েছে।
এবারের এসএসসির ফলাপলে এমপি সেলিম ওসমানের সন্মানে আঘাত বলে মনে করেন অভিভাবকরা। তাই অভিভাবকরা অদক্ষ প্রধান শিক্ষক অপসারন করে দক্ষ শিক্ষক দিয়ে স্কুল পরিচালিত হলে স্কুলটি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। এ বিষয়ে এমপি সেলিম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।
অপরদিকে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী মর্ডাণ একাডেমীর চেয়ারম্যান বলেন, আমার এখানে যারা ভর্তি হয়েছে তারা ান্য স্কুল থেকে ঝড়েপড়া শিক্ষার্থীরা। তাদের আমি শিক্ষাদান করে পাশ করিয়েছি।
যারা ফেল করেছে তারা নিয়মিত স্কুলে আসে নাই। তাই তারা ফেল করেছে। যদি তারা নিয়মিত স্কুলে আসত তবে আমার স্কুলে পাশের হার শতভাগ হতো।
আমি মনে করি যাদের ঝেড়ে ফেলে দিচ্ছে অন্যান্য স্কুল তাদের আমি ঘষে মেজে তৈরী করে ঝড়ে পড়া থেকে রক্ষা করছি। সম্প্রতি এ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে কোচিং না করার জেরে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করেছে।