বন্দরে মিষ্টি খাওয়ার টাকা না পেয়ে সন্ত্রাসী হামলায় একই পরিবারের ৩ জন রক্তাক্ত জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলো হাসি বেগম (৪৫) ও তার ছোট মাছুম (৩০) এবং তার স্ত্রী রুমা বেগম (২৫)। স্থানীয়রা মারাত্মক জখম অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে। এ ব্যাপারে আহত মাছুম মিয়া উল্লেখিত হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে ঘটনার ওই দিন দুপুরে ৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এর আগে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল টায় বন্দর উপজেলার কামতাল এলাকায় ওই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, বন্দর উপজেলার কামতাল এলাকার মৃত আব্দুল হাই মিয়ার দিনমজুর ছেলে মাছুম মিয়া অনেক কষ্টের মাধ্যামে গত ২ বছর পূর্বে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আঁটিগ্রামস্থ মাইছাপাড়া এলাকার মাজেদা বেগমের নিকট থেকে ৩ শতাংশ জায়গা ক্রয় করে। জায়গা ক্রয় করার পর থেকে একই উপজেলার ফুলহর এলাকার হবু মিয়ার ছেলে আমান উল্ল্যাহ কুপরামর্শে বিল্লাল হোসেন নিরিহ মাছুমের কাছ থেকে মিষ্টি খাওয়ার জন্য ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকাল ৮টায় একই এলাকার মৃত জনব আলী ছেলে বিল্লাল হোসেনের কুপরামর্শে তার ছেলে স্থানীয় সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর নিরিহ মাছুমের বসত বাড়িতে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনায় দিনমজুর মাছুম মিয়া চাঁদা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে ওই সময় চাঁদাবাজ জাহাঙ্গীর ও তার পিতা বিল্লাল হোসেন এবং অপর সন্ত্রাসী আমান উল্ল্যাহসহ অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জন সন্ত্রাসী ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার রড ও এসএস পাইপ দিয়ে এলাপাতারী মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। আহত মাছুমের চিৎকারের শব্দ পেয়ে তার বড় বোন হাসি বেগম ও তার স্ত্রী রুমা বেগম তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে ওই সময় ১নং বিবাদী হাসি বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে চাপাতি দিয়ে মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে এলাপাথারী ভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এ ছাড়াও বিল্লাল হোসেন ও অপর সন্ত্রাসী আমান উল্ল্যাহ রুমা বেগমকে এলোপাতারী ভাবে মারধর করে শ্লীতাহানীসহ নিলাফুলা জখম করে ১টি মোবাইল সেট ও ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ অভিযোগ পেয়ে দ্রæত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।