বন্দরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট কক্ষে বসে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময় মো. মনির নামে এক পোলিং এজেন্টকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটককৃত মনির হোসেন কান ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, আমি ভুল করেছি। এরকম আর হবেনা।
আমি আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের এজেন্ট। তবে তার কার্ডে লেখা ছিল, তিনি হেলিকপ্টার প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হোসেন শুভ এজেন্ট। চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হোসেন শুভ চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের ছেলে।
বুধবার (৮মে) দুপুরে বন্দর রেললাইন এলাকায় ১৭ নম্বর ভোট কেন্দ্র কলাবাগ সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ এ বিষয়ে বন্দর কলাবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার আইয়ুব আলী ভূঁইয়া বলেন, আমরা সবাইকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করেছি। কিন্তু তিনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় তাকে সাময়িকভাবে আটক করা হয়েছে।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সরকারি হাজী ইব্রাহিম আলম চান স্কুলের ভোট কেন্দ্র থেকে আরিফ নামে একজন পোলিং এজেন্ট কে আটক করা হয়েছে। তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ রশিদের এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি কেন্দ্রের কক্ষের ভেতরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় তাকে আটক করা হয়।
পোলিং এজেন্ট আটক প্রসঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কেউ অনিয়ম বা অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, প্রথমধাপে অনুষ্ঠেয় নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট সকাল ৮ টা থেকে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ৫৪টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচনে চার জন চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছে। তাদের মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান এম এ রশিদ (দোয়াত কলম), উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির বহিষ্কার নেতা আতাউর রহমান মুকুল (চিংড়ি মাছ), জাতীয় পার্টি থেকে বহিস্কৃত নেতা মাকসুদ হোসেন (আনারস) ও তার ছেলে মাহমুদুল হাসান (হেলিকপ্টার) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।