কোন অবস্থাতে থামানো যাচ্ছেনা বন্দরের শীর্ষ সন্ত্রাসী কাটা সিফাত বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। বন্দর থানায় ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কার্মকান্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে অর্ধডজন মামলা থাকলেও রহস্যজনক কারণে কাটা সিফাত বাহিনীর প্রধান কাটা সিফাত ও বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, সাংবাদিক চাচার শেল্টারে গুনধর ভাতিজা বন্দর থানার তালিকা ভূক্ত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী কাটা সিফাত ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এর ধারাবাহিকতায় গত (১ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় কাটা সিফাত ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী মানিক (২০) নামে এক সংখ্যালঘু যুবককে বন্দর শাহীমসজিদস্থ পল্লী বিদ্যুত সংলগ্ন ভাঙ্গা ব্রীজের সামনে ডেকে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম ভাবে কুপিয়ে ৮ ভরি ওজনের রুপার ২টি চেইন, ২টি মোবাইল সেট ও নগদ ২ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী আহতকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে আহতের বড় ভাই ওয়াসিম সিং সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার দীর্ঘ ৯ দিন পর গত শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাতে বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৮(১১)২৩ ধারা- ১৪৩/ ৩৪১/ ৩২৩/ ৩২৬/ ৩০৭/ ৩৭৯/ ৫০৬/ পেনাল কোড ১৮৬০।
মামলার আসামীরা হলো বন্দর শাহী মসজিদ এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী রিং শাহীনের ছেলে বন্দর থানার তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী কাটা সিফাত (২৬) একই এলাকার আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে রহিম (৩০) একই এলাকার মৃত দরবেশ মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল (৩৫) একই এলাকার রিক্সার গ্যারেজ মালিক সেলিম (৪০) ও একই এলাকার আমজাদ (২৫)। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর থেকে কাটা সিফাতসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী পলাতক রয়েছে। এদিকে বন্দরে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী কাটা সিফাতকে মুক্ত করার জন্য কথিত সাংবাদিক ও তার স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাপ করার খবর পাওয়া গেছে। বন্দর শাহীমসজিদের আতংক কাটা সিফাত ও তার শেল্টারদাতাসহ স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীদের গ্রেপ্তারের জন্য জেলা পুলিশ সুপার ও র্যাব-১১ জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে কাটা সিফাত বাহিনীর আক্রমনের শিকার ভূক্তভোগী পরিবারগন।