ফুলকে ভালো বাসেনা এমন লোক পৃথিবীতে নেই বললেই চলে। ফুল হলো ভালোবাসার প্রতীক। ফুল আস্থার প্রতীক। আর এই ফুল চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার জামান প্রধান। এখানে প্রচুর পরিমান ফুল চাষের কারণে বন্দর উপজেলার সাবদী গ্রামের পাশাপাশি এখন মাধবপাশা এলাকা ফুলের গ্রাম হিসেবে ঢাকা ও নারায়নগঞ্জে ব্যাপক পরিচিত লাভ করেছে। কেননা ঢাকা ও নারায়নগঞ্জে বিশাল ফুলের বাজারে ব্যাপক চাহিদা মেটাচ্ছে বন্দরের সাবদী ও মাধবপাশা এলাকার ফুল চাষীরা।
এ ব্যাপারে ফুল চাষী ও স্থানীয় মেম্বার জামান প্রধান গনমাধ্যমকে জানান, গত ৮ বছর ধরে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের মাধবপাশা এলাকায় দেড় বিঘা জমি নিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল চাষ করে আসছি। এর মধ্যে জার বরা ফুল, গেন্ধা ফুল, চায়না ফুল, সূর্যমুখী অন্যতম।
বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের মধ্যে জার বরা ফুলের চাষ করে আমি এর সফলতা পেয়েছি। এই ফুলের চাহিদা ঢাকা ও নারায়নগঞ্জে অনেক বেশী। ফুলবাগানের জন্য টাকা খরচ করেছি এই থেকে আমি অনেক উন্নতি করেছি। সরকারি ভাবে একটু সহযোগিতা পেলে আমি আরো বেশী সফলতা লাভ করতে পারব বলে আশা প্রকাশ করছি। জারবরা ফল চাষ করতে অনেক পরিশ্রম করার পাশাপাশি এখানে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। টাকার অভাবে এখানকার অনেক ফুলচাষীরা এ ফুলের চাষ করতে পারে না। আমি আমার প্রতিবেশী ও এলাকাবাসীদের আহবান জানাচ্ছি অপনারা এভাবে বসে না থেকে ফল চাষে আগ্রহী হন। ইচ্ছে, শক্তি ও মনোবল ঠিক থাকলে আপনারাও আমার মত ফুল চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।
এ ব্যাপারে সেনপাড়া এলাকার সমাজ সেবক মোঃ সেলিম মিয়া জানান, বিকেল হলেই ফুল বাগান দেখার জন্য জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর ফুল প্রেমিদের আগমন ঘটে এখানে। ফুল প্রেমিদের আগমন ও ফুল বাগানের সৌন্দর্য তখন একাকার হয়ে যায়।
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার জামান প্রধান ফুল চাষ করে ইতিমধ্যে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এখানকার মাটির উর্বরতা হওয়ার কারণে এখানে প্রচুর পরিমান ফুল চাষ করা হয়। ঢাকা ও নারায়নগঞ্জে ফুল বাজারের পাইকাররা এখন মাধবপাশা ও সাবদী এলাকায় ফল নেওয়ার জন্য ভীড় জমাতে দেখা যাচ্ছে। সরকারি সহযোগিতা পেলে এখানকার সাধারন মানুষ ফুল চাষে ব্যাপক ভাবে আগ্রহী হবে।