সরকারি অনুমতি পাওয়ায় পরও সপ্তাহের শেষ দুদিন (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) দিনাজপুরের হিলি বন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। পাইকাররা বলছেন, বন্দরে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। এজন্য নতুন অনুমতিপত্রের (আইপি-ইমপোর্ট পারমিট) পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে না। এছাড়া রমজানে পেঁয়াজের দাম বাড়ারও কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বন্দর সূত্র জানায়, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির আইপির মেয়াদের শেষদিন ছিল মঙ্গলবার (২৯ মার্চ)। এ কারণে আমদানিকারকরা আগের আইপির সব পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করান। ফলে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে একদিনে ভারত থেকে রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। এজন্য বন্দরে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। এজন্য দুদিন বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও বন্দরে পেঁয়াজের দাম আগের মতো স্বাভাবিক রয়েছে।
শুক্রবার (১ এপ্রিল) সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বন্দরের আড়তগুলোতে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ টাকা দরে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৬ টাকা দরে।
দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৪ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজের দাম কম থাকায় সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
হিলি বন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জাগো নিউজকে জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সরকারি অনুমতিপত্রের শেষদিন ছিল মঙ্গলবার। নতুন আইপিতে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে সরকার। ফলে ব্যবসায়ীরা আগের অনুমতির সব পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করিয়েছেন। তবে নতুন আইপির পেঁয়াজ এখনো বন্দরে প্রবেশ করেনি।
তিনি আরও বলেন, ‘বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি বৃদ্ধির কারণে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে। আড়তগুলোতেও প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ মজুত আছে। আসন্ন পবিত্র রমজানে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, মঙ্গলবার বন্দর দিয়ে ভারতীয় ৬৩ ট্রাকে এক হাজার ৬৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবে নতুন আইপির পেঁয়াজ সপ্তাহের শেষ দুদিনে হিলি বন্দর দিয়ে আমদানি হয়নি।
হিলি বন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাফ হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, মঙ্গলবারের পর থেকে হিলি বন্দর দিয়ে ব্যবসায়ীরা নতুন করে পেঁয়াজ আমদানি করেননি। নতুন আইপির পেঁয়াজ আমদানি হলে স্থানীয়সহ দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে বলে আশা করছি।