মাদক ব্যবসা বাধা দেওয়ার জের ধরে বন্দরে নারী কাউন্সিলর শিউলী নওশাদের ছোট ভাই আব্দুস সালাম জখমের মামলার ২নং এজাহারভূক্ত হামলাকারি মিরাজ হোসেন (২৫)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৯ জুন) রাতে বন্দর থানার পশ্চিম হাজীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই হামলাকারিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে গত বুধবার (৭ জুন) রাত ১১টায় বন্দর থানার ২০নং ওয়ার্ডের দড়ি-সোনাকান্দা রাস্তা মোড়ে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে সন্ত্রাসী হামলায় আহত আব্দুস সালাম বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত মিরাজসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১৫(৬)২৩ ধারা- ৩৪১/ ৩০৭/ ৩২৩/৩২৬/ ৩৭৯/ ৫০৬ পেনাল কোড-১৮৬০।
গ্রেপ্তারকৃত মিরাজ হোসেন বন্দর থানার ২০নং ওয়ার্ডের পশ্চিম হাজীপুর এলাকার নূর হোসেন মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তারকৃতকে শনিবার (১০ জুন) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার ২০নং ওয়ার্ডের পশ্চিম হাজীপুর এলাকার আলম মিয়ার ছেলে আকাশ একই এলাকার নুর হোসেন মিয়ার ছেলে মিরাজ হোসেন দীর্ঘ দিন ধরে পশ্চিম হাজীপুর, সোনাকান্দা ও দড়ি-সোনাকান্দা এলাকায় অবাধে মাদক ব্যবসা করে আসছিল।
গত মঙ্গলবার (৬ জুন) রাত ১০টায় মাদক ব্যবসায়ী আকাশ ও মিরাজ হোসেন দড়ি সোনাকান্দা বালু মাঠে ইয়াবা বিক্রি সময় একই এলাকার মৃত আবুল হাসেম মিয়ার ছেলে আব্দুস সালাম তাদের বাধা প্রদান করলে উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে মহিলা কাউন্সিলারের ছোট ভাই আব্দুস সালামকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রান নাশের হুমকি দেয়।
এর ধারাবাহিকতায় গত বুধবার (৭ জুন) রাত ১১টায় আব্দুস সালাম মিয়া দড়ি-সোনাকান্দা রাস্তার মোড় হইতে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হইলে ওই সময় উৎপেতে থাকা উল্লেখিত ২ মাদক ব্যবসায়ীসহ আকাশের পিতা আলম মিয়া ও তার ছেলে রকিব ধারালো অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আব্দুস সালামের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
ওই সময় হামলাকারিা সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে আব্দুস সালামকে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুচিয়ে কাটা জখম করে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী জখম অবস্থায় আব্দুস সালামকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় আহত বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ মামলা দায়েরের ওই দিন রাতে হামলাকারি মিরাজকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে।