বন্দর প্রতিনিধিঃ বিদ্যুতের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি, চাল, ডাল, তেল, কৃষি ও শিক্ষা উপকরণ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ধামগড় ইউনিয়ন ও নাসিক ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার বাদ আসর বিক্ষোভ মিছিলটি বন্দর উপজেলার মদনপুর টু মদনগঞ্জ সড়কের ইস্পাহানী বাজার থেকে শুরু হয়ে তালতলা স্ট্যান্ড, বনগন, ঢাকেশ্বরী বাজার ও সোনাচড়া হয়ে রামনগরে গিয়ে শেষ হয়। উক্ত কর্মসূচিতে ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মতিন ভাসানির সভাপতিত্বে এবং ধামগড় ইউপি’র ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মোঃ বিল্লাল হোসেন বক্তব্য রাখেন। তাছাড়া এসময় ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, নাসিক ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সোহেল প্রধান, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সাবেক সভাপতি জুলহাস, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি বুলবুল, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি আমানত ও সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসলাম নারু, সদস্য গোলজার ও বেনজির, ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান সাউদ চুন্নু, সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবুল মিয়া, সহ-সভাপতি আজিম সাউদ সহ ধামগড় ইউনিয়ন ও নাসিক ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উপস্থিত বক্তারা বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য কমানোর জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হউক এবং প্রিয় নেতা তারেক রহমানের সকল মামলা প্রত্যাহার করে দ্রুত ওনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেয়া হউক। আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাদের হুশিয়ার করে বলছি, ১৫ বছর বহু লুটপাট করেছেন এবং আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানী করেছেন, আবারো গোপনে ষড়যন্ত্র করছেন, আপনাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠিন ব্যবস্থা নিবো। আমাদের এলাকায় একটি শিল্প কারখানা গড়ে উঠছে। এখানে বালু ভরাট হয়েছে ও নির্মাণ কাজ শুরু হবে। কিন্তু শিল্প প্রতিষ্ঠান দখলে নিতে আবুল কাউসার আশার নির্দেশে ও বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ আইয়ুব মেম্বারের যোগসাজশে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা মহড়া দিয়েছে। বিশেষ করে সিদ্ধিরগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী ঢাকাইয়া জালাল, পান্ডব ও নাসিক ২৬নং ওয়ার্ডের লক্ষণখোলা এলাকার আ.লীগ নেতা শাহ আলম, জনি ও ফয়সালের নেতৃত্বে শতাধিক লোক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দেয়। এসময় ধামগড়, মনারবাড়ি, রামনগর, মালামত, সোনাচড়া, বনগন ও তালতলা গ্রামের ৪ থেকে ৫ শতাধিক বিক্ষুব্ধ জনতা একত্রিত হয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে আমরা স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে অবরুদ্ধ সন্ত্রাসীদের ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে বলে আবুল কাউসার আশার ইন্ধনে আমাদের এলাকার ৮ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমাদের জানামতে, যে ছেলেটি আহত হয়েছে সে ঘটনার দিন পালাতে গিয়ে পুকুরে ঝাপ দিলে পুকুরে থাকা ধারালো কিছুতে লেগে তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কেটে যায়। আওয়ামী লীগের দোসররা সুবিধাবাদী বিএনপি নেতার সাথে মিলে মিশে প্রকৃত ও ত্যাগী বিএনপির নেতা-কর্মীকে হয়রানী করার ষড়যন্ত্র করছে। বহিরাগত সন্ত্রাসীদের কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে বলছি আমাদের এলাকায় এসে মাতব্বরি চলবেনা, যদি এখানে এসে প্রভাব বিস্তার করার পুনরায় চেষ্টা করেন তাহলে দাতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। তদন্ত সাপেক্ষে এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি’।