যাত্রী সেঁজে সিদ্ধিরগঞ্জের এক অটো চালককে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে বন্দরে এনে তার ব্যবহৃত অটোগাড়ী ও নগদ টাকা চুরি করে পালানোর সময় স্থানীয় জনতা ৪ অটো চোরকে আটক করে পুলিশ সোর্পদ করেছে।
সোপর্দকৃত চোররা হলো নারায়ণগঞ্জ সদর থানার সৈয়দপুর কড়ইতলা এলাকার শফি উল্ল্যাহ খানের ছেলে সবুজ খান (২৯) একই থানার একই এলাকার ফকির বাড়ি মাতব্বর বাড়ি এলাকার কামাল মিয়ার ছেলে ইমরান ওরফে সাগর (২৫) একই থানার গোগনগর এলাকার আক্কাস মিয়ার ছেলে হৃদয় (২২) ও শহিদ নগর ২নং গল্লী এলাকার শুক্কর মিয়ার ছেলে সানি আলম (২০)।
এ সময় জনতা আটককৃত চোরদের কবল থেকে চোরাইকৃত অটোগাড়ীটিও উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী অটো চালকের ভগ্নিপতি ও অটো মালিক মাছুম রানা বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে আটককৃত ৪ চোরকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি চুরি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং- ৩৩(১২)২২।
এর আগে গত সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ৬টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কান্দিপাড়া নরপর্দিস্থ পাকা রাস্তার পাশের্^ নুরী মোস্তফার বালুর মাঠে এ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত ৪ চোরকে উল্লেখিত মামলায় মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, সুদূর পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থানার সুতিপাড়া এলাকার আজাফফর আলী মিয়ার ছেলে মিশুক চালক আশাদুল হক ও তার পরিবার দীর্ঘ দিন ধরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাইলো আইয়ুব নগরস্থ হাসেম ডাক্তারের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে।
প্রতিদিনের ন্যায় গত সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় অটো চালক আশাদুল হক জিবীকার তাগিদে মিশুক নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাসায় ফিরে আসেনি। সে সাথে তার ব্যবহারকৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনার ওই দিন রাত ৮টায় মদনগঞ্জ ফাঁড়ী পুলিশ অটো মালিককে ফোন করে জানায় মিশুক চালক আশাদুল হক পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
মামলার বাদী সূত্রে আরো জানা গেছে, মদনগঞ্জ ফাঁড়ী পুলিশ অচেতন অবস্থায় আমার শ্যালক মিশুক চালক আশাদুল হককে বন্দরে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কান্দিপাড়া টু নরপর্দি এলাকাস্থ নূরী মোস্তফার বালু মাঠ থেকে উদ্ধার করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় আটককৃতরা যাত্রী সেজে সিদ্ধিরগঞ্জ সাইলো গেইট হইতে সিদ্ধিরগঞ্জ ২ নম্বর যাওয়ার উদ্দেশ্যে অটো গাড়ীতে উঠে।
পরে যাত্রী বেশী চোরের দল অটো চালককে কৌশলে সিংগার ও পানি সেবন করালে মুহুর্তের মধ্যে শ্যালক আশাদুল হক অচেতন হয়ে পরে। অটো গাড়ী চুরি করার সময় বিষয়টি বন্দরে স্থানীয় জনতার নজরে পরলে এলাকাবাসী ৪ অটো চোরকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। পরে আমি পুলিশের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে দ্রুত আমার শ্যালকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করি।