বন্দরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অনিক গ্রুপের সন্ত্রাসী হামলায় ক্যাপ রোমান (৩৬) হত্যা মামলার আসাাম রাব্বি (২৫) ও মাহাবুব (২৩)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ২ আসামিকে রোববার (১৮ জুন) দুপুরে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
গত শনিবার (১৭ জুন) বিকেলে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ঘারমোড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত দুই হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর উপজেলার ঘারমোড়া এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে রাব্বি (২৫) ও একই এলাকার মৃত মাইনুদ্দিন মিয়ার ছেলে মাহাবুব (২৩)।
এ ব্যাপারে নিহত ক্যাপ রোমানের পিতা আব্দুর রহিম ওরফে আদু মিয়া বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও আরো ৬/৭ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৪৮(৫)২৩ ধারা- ১৪৩/ ৩২৩/ ৩২৪/ ৩২৬/ ৩০৭/ ৩০২/ ১১৪/ ৫০৬/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০।
এর আগে গত শুক্রবার (২৬ মে) রাত সাড়ে ৮টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ঘারমোড়া বাজারস্থ মরহুম রশীদ সরদারের মার্কেটের সামনে ওই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসী হামলায় নিহত রোমান ওরফে ক্যাপ রোমান বন্দর থানার ১৯নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জ সৈয়ালবাড়ি ঘাট এলাকার আব্দুর রহিম ওরফে আদু মিয়ার ছেলে।
এদিকে পুলিশ রোমান হত্যাকান্ডের ঘটনার ওই রাতেই ঘারমোড়াসহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামী ঘাতক অনিক সরদারসহ এ পর্যন্ত ৮ আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য, ফার্নিশ ওয়েল ব্যবসার নিয়ন্ত্রন ও মোবাইল ঘটিত বিরোধের জের ধরে বন্দর উপজেলার ঘারমোড়া সরদার বাড়ি এলাকার মহিদ মিয়ার সন্ত্রাসী ছেলে অনিক গ্রুপের সাথে মদনগঞ্জ সৈয়লবাড়ী ঘাট এলাকার আদু মিয়ার ছেলে ক্যাপ রোমান গ্রুপের দীর্ঘ দিন ধরে পূর্ব শত্রুতা চলছিল।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত শুক্রবার (২৬ মে) রাতে বন্দর উপজেলার ঘারমোড়া বাজারস্থ রশীদ সরদারের মার্কেটের সামনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। ওই সময় সন্ত্রাসী অনিক, সিফাত ও ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. আবু বকর ছিদ্দিক গনমাধ্যমকে জানান, ক্যাপ রোমান হত্যাকান্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের ঘটনার রাতেই মামলার প্রধান আসামী অনিক সরদারসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত বুধবার রাতে মামলার ২নং এজাহারভক্ত আসামী আরজুম ওরফে আরজু ওরফে নাজজুমকে ও গত রোববার (৪ জুন) রাতে একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী জুয়েলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়াও গত শনিবার (১৭জুন) বিকেলে ঘারমোড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাব্বি ও মাহাবুব নামে আরো ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়ভ।
পরে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মদনগঞ্জ ফাঁড়ী উপ-পরিদর্শক আরিফ হাওলাদার গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে রোববার দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত আছে।