বক্তাবলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত আলীর আর্শীবাদ পুষ্ট জাকির ও সামেদ আলী সমর্থিত কাদির বাহিনীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। দু’গ্রুপের সংঘর্ষে বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়, এছাড়া পুলিশসহ আহত হয়েছে আরও ১৫ জন।
সোমবার (২৯ আগষ্ট) দুপুরে সদর উপজেলার উত্তর গোপালনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন আবুবক্কর (৩৫) ও আফজাল (৪০) ।
জানা যায়, পুলিশ খবরপেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ককটেল বিস্ফোরণসহ টেটা ছুড়ে মারা হয়। এসময় ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে, পূর্বের রেশ ধরে সামেদ আলী বাহিনীর সঙ্গে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলীর সমর্থিত জাকির গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে উভয় গ্রুপকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে একটি পরিত্যাক্ত ইট ভাটার ভেতর থেকে পুলিশের ওপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় একই সঙ্গে টেটা ও ইট ছুড়ে মারা হয়। এ সময় পুলিশ আত্নরক্ষার্থে ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। তবে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে । এছাড়া আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিককে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।