শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

বক্তাবলীতে আলমগীর হত্যা : ধরাছোয়ার বাইরে প্রধান আসামী ফারুক

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০২২, ৭.৩৬ এএম
  • ১৭৪ বার পড়া হয়েছে

ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলীতে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় আলমগীর হোসেন নামে এক যুবককে। গত ২১ মার্চ সকালে বক্তাবলীর রাজাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় আলমগীরের স্ত্রী একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে মহসিন ও তোফাজ্জল নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করলেও এখনও ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে মামলার প্রধান আসামী ফারুক মেম্বার সহ পাভেল, আব্দুল, সজীব, কাউছাররা। ফলে অনেকটাই আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন আলমগীরের পরিবার।

 

আলমগীরের পরিবারের দাবি, আসামীরা প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক হওয়ায় যে কোন সময় আসামীদের দ্বারা তারা হামলার শিকার হতে পারেন। আসামীরা ইতিমধ্যে মামলা তুলে নিয়ে মীমাংশার জন্য সুকৌশলে চাপ প্রয়োগ করছে। তাই যতদ্রুত সম্ভব আসামীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আলমগীরের পরিবার।

তারা বলেন, আলমগীরকে হারিয়ে আমরা নি:স্ব হয়ে পড়েছি। আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় থানা পুলিশ ছাড়া আজ আমাদের পাশে কেউ নাই। তবে পুলিশের পক্ষেও আমাদের সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব না।

আমরা জানিনা আমাদের আর কতদিন এভাবে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হবে। তাই আমাদের জেলা পুলিশ প্রশাসনের কাছে একটাই দাবি থাকবে, আপনারা যতদ্রুত সম্ভব আসামীদের গ্রেপ্তার করে আমাদের আতঙ্কের জীবন থেকে মুক্তি দিন।

এদিকে ফারুক মেম্বারের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এক সময়ে অর্থকষ্টে দিন কাটানো মানুষ দ্রুত সময়ে বিত্তবান হয়ে ওঠেন। একে একে গড়ে তোলেন মারুফা ব্রিকফিল্ড ও হুন্ডি ব্যবসাসহ একাধীক প্রতিষ্ঠান। তবে তার এ বিত্তবান হওয়াটা সকলের কাছে এখনও একটা রহস্য।

রাতের আধারে বিত্তবান না হলেও এত অল্পসময়ে খুব মানুষই বিত্তবান হতে পারেন। তবে তার দ্রুত বিত্তবান হওয়ার পেছনে তার মা ও বোনের সবচেয়ে বেশি অবদান ছিলো বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

 

এলাকাবাসী জানান, মারুফা ব্রিকফিল্ডে আলমগীর হত্যাকান্ড ছাড়াও এর আগে বহু অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। সব সময় কোন এক রহস্যজনক কারণে পার পেয়ে যান ফারুক মেম্বার।

 

মানুষের পাপের সংখ্যা বেশি হয়ে গেলে আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করেন না। একজন মানুষকে (আলমগীর) যেভাবে তারা প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করছে, সেটা কোন মানুষের পক্ষেই মেনে নেয়া যায়না।

সেই মানুষ যদি খারাপ হয়, তাহলে তার জন্য আইন আছে। ক্ষমতা আছে বলে একজন মানুষকে সবাই মিলে এভাবে হত্যা করবে, এটা আল্লাহ্ সইবেনা। এ জগতে বিচার না হলেও পরজগতে তিনি পাড় পাবেন না।

অপর একটি সূত্র বলছে, জেলা পুলিশের কোন এক কর্মকর্তার খুব ভালো সর্ম্পক আছে বলে দাবি করতো আলমগীর হত্যা মামলার তালিকাভূক্ত আরেক আসামী পাভেল। সেই সুবাধে তিনি এলাকায় বিভিন্ন ধরনের প্রভাব খাটাতো।

কেউ এর প্রতিবাদ করলে, তাকে ওই পুলিশ কর্মকর্তার ভয় দেখাতো পাভেল। এভাবেই তিনি ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে চলতো।

 

সূত্রটি আরও দাবি করেন, এই মামলার আরও এক আসামী ফারুক মেম্বারের ছোট ভাই সজীব। তিনি হুন্ডি ব্যবসার সাথে জড়িত থাকলেও মূলত তিনিও পুলিশের কোন এক কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতো।

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুজ্জামান, আমরা এ বিষয়ে খুবই তৎপর। ইতিমধ্যে এলাকায় অভিযান চালিয়ে আমরা দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি আসামীদেরও দ্রুত গ্রেফতারের প্রচেষ্টা রয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort