ফরিদপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ১২৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে হত্যা চেষ্টার মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন শহরের মাহমুদপুর এলাকার মুজাহিদুল ইসলাম। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আবদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতারা রয়েছেন। মামলার বাদী মুজাহিদুল ইসলাম তার আর্জিতে জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় তার স্কুলপড়ুয়া মেয়ে আন্দোলনের একটি মিছিলে অংশ নেয়। মিছিল চলাকালে ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলায় অন্যান্য শিক্ষার্থীর মতো তার মেয়েও আহত হয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাদী তার মামলায় উসকানিদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার ঘনিষ্ঠদের নাম উল্লেখ করেন।
মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন-আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নুর তাপস, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, শেখ হাসিনার শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, সাবেক এমপি শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু, সাংবাদিক প্রবীর সিকদার।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আবদুল জলিল বলেন, এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ ১২৫ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন। এ ঘটনায় কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।