এক সময় বাংলাদেশ জাতীয় দলসহ বিভিন্ন দেশের জাতীয় পর্যায়ের খেলা অনুষ্ঠিত হতো নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা স্টেডিয়ামে। তবে রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে সেই ২০১৬ থেকে জরজির্ন হয়ে পরে আছে ফতুল্লা স্টেডিয়ামটি। মাঠের আশেপাশে পানি জমে ডোবার মত অবস্থা। আর ভেতরের অবস্থা অনেকটা ভুতুরে। তাই স্টেডিয়ামটিতে বেড়েছে মাদক সেবনকারীদের আনাগোনা।
সম্পৃতি এই স্টেডিয়ামটিকে ঘিরে নিজের মনের কষ্ট ও এটিকে আগের অবস্থায় ফেরাতে করণিয় বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
শামীম ওসমান বলেন, স্টেডিয়াম টি দেখে আমার হৃদয়ে রক্তকরণ হয়। গত চার-পাঁচ বছর ধরে এই বিষয়টা বারবার উত্থাপন করেছি, মাঝে মাঝে নিজেকে অসহায় মনে হয়। জাতির পিতার কন্যা এই স্টেডিয়াম টি উদ্বোধন করে গিয়েছিলেন। তখন ইতিহাসের অন্যতম এক সমাবেশ হয়েছিল এখানে। প্রায় হাফ মিলিয়ন লোক হয়েছিল। শত শত কোটি টাকার এই সম্পদ আজ কি অবস্থা। আমিও ব্যর্থ। ভেতরের দামি দামি মেশিন গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বাইরের অবস্থা তো আরো খারাপ।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি মাননীয় মন্ত্রী তিনি খুব ভালো মানুষ, আমি তাকে বারবার বলেছি এখানে আসেন একটু দেখেন। আমি গত পাঁচ বছর ধরে একটা কথাই শুনছি যে, বুয়েট এটি নিয়ে পরিচর্যা করছে। পাঁচ বছর যদি পানি পাস আউট করতেই লাগে তাহলে আমার দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছু বলার নেই।
গণমাধ্যমকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় শামীম ওসমান বলেন, এই জিনিসটাকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট লোক আছে, তারা কি করছে? ভেতরের সব বড় বড় জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্যি কথা মাঝে মাঝে আমি শুনি এখানে কর্নারে বসে মাদকের আড্ডাও হয়। আমি কষ্ট পাচ্ছি পাশাপাশি লজ্জাও পাচ্ছি যে আমি এই আসনের একজন সংসদ সদস্য হয়েও কাজটি দেখভাল করতে পারিনি।
শামীম ওসমান আরও বলেন, আমি মনে করি যদি উনারা (কতৃপক্ষ) ডিটারমাইন্ড হন তাহলে আগামী শীতের মৌসুমে এই মাঠে আবার খেলা হতে পারে। আমি ক্রিকেট বোর্ডের সাথেও কথা বলেছি। পাপন বললো আমাদের দাও আমরা ঠিক করে দিচ্ছি। কথাটা হচ্ছে এটা তো একটি টিম তাই না।