ফতুল্লায় গত ১৪ ঘন্টার ব্যবধানে নারী কিশোরসহ চারটি আত্নহত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শনিবার সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত ফতুল্লা থানার বিভিন্ন এলাকায় এক নারী,এক কিশোর হ চারজন নিজ নিজ বাসায় আত্মহত্যা করছে বলে জানা গেছে।
নিহতরা হলেন ফিরোজ (২৮),কিশোর মেহেরাজ ইসলাম শাওন (১৭),রাসেল ঢালী (৩৪) ও আঞ্জুমান (১৯)।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সংবাদ পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক মোস্তফ কামাল ফতুল্লার শাসনগাঁস্থ তাজুল ইসলামের ভাড়াটিয়া বাসা থেকে নিজ ঘরের আড়ার সাথে নিহত ফিরোজের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। সে ওই বাড়ীতে একাই ভাড়া থাকতো তার স্ত্রী,বাবা- মা সহ সকলেই গ্রামের বাড়ী টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতিতে থাকে। নিহত ফিরোজ একজন ভাসমান খাবার বিক্রেতা বলে জানায় পুলিশ।
অপরদিকে রাত সাড়ে বারোটার দিকে সংবাদ পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক শাহাদাত হোসেন শাসনগাঁ হাসান মাতাব্বুরের ভাড়াটিয়া বাসা থেকে গার্মেন্টস শ্রমিক আঞ্জুমানে(১৯)’র গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মৃত দেহ উদ্ধার করে।নিহত আঞ্জুমান পটুয়াখালী জেলার দশমানিয়া থানার দশমানিয়া গ্রামের হারুন মুন্সির মেয়ে।
একই দিন রাত এগারোটার দিকে পুলিশ কাশিপুর বাংলা বাজারস্থ লুৎফর রহমানের ভাড়াটিয়া বাসা থেকে রাসেল ঢালী (৩৪) নামক এক রিক্সা চালকের গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মৃত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।নিহত রাসেল ঢালী বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার উটরার মৃত কাদের ঢালীর পুত্র।সে তার স্ত্রী তাহমীনা (২৮) সহ সন্তান কে নিয়ে শাসনগাঁ লুৎফরের বাসায় ভাড়ায় বসবাস করতো। নিহত রাসেল ঢালী পেশায় রিক্সা চালক আর স্ত্রী তাহমীনা শহরের দুই নং গেইট এলাকায় একটি হোসিয়ারীতে কাজ করে।
অপরদিকে শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল দশটার দিকে ভুইগড় গিরিধারা আলামীন টাওয়ারের অস্টম তলার নিজ কক্ষ থেকে মেহেরাজ ইসলাম শাওন (১৭) নামক এক মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রের গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মৃত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।নিহত মেহেরাজ ইসলাম শাওন লক্ষিপুর জেলার রায়পুর থানার রায়পুর মধ্যবাজারের আঃ রাজ্জাকের পুত্র ও ঢাকার যাত্রাবাড়ীর তালিম মিল্লাত মাদ্রাসার দাখিল বিভাগের আবাসীক ছাত্র।
ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান,মৃত দেহগুলো ময়না তদন্তের জন্য হাসোতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত দেহ উদ্ধারে আইনানুগ ব্যনস্থা গ্রহন করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।