চিকিৎসক না হয়েও নিজরে নামের আগে ডা. ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ফতুল্লার ভূইগড়ের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। একসময় লেগুনার হেল্পার ছিলেন অভিযুক্ত ব্যক্তি আজিজুল হাকিম রকি। এসএসসি’র গণ্ডি না পেরোনো রকি পরে কোনোমতে ওষুধের একটি দোকান দেন। এর কিছুদিন যেতে না যেতেই নামের আগে ব্যবহার করতে শুরু করেন ডাক্তার পদবী। আর সেই প্রভাবে দেখতে শুরু করেন রোগী। এসএসসি পাশ না করা একজন ব্যক্তি কীভাবে ‘ডাক্তার পদবী ব্যবহার করেন বা রোগী দেখেন, এ নিয়ে তোলপাড় চলছে ভূইগড়ে৷
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, রকির বিরুদ্ধে অপচিকিৎসার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। পরিবারের অভাব-অনটনে দীর্ঘদিন চাষাড়া- সাইনবোর্ড রুটের লেগুনায় হেলপার হিসেবে কাজ করেছেন রকি৷ এরপর কিছু পুঁজি নিয়ে কোনোপ্রকার অভিজ্ঞতা ছাড়াই ওষুধের দোকান দেন ভূইগড়ে। আর সেই দোকানে বসেই বিভিন্ন রোগী দেখা শুরু করেন৷ তার টোটকা ও ভুল চিকিৎসায় ইতোমধ্যে অনেকেই বড় ধরনের শারীরিক ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন৷
ইউসুফ নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘ রকি একজন অপচিকিৎসক৷ যে লোক স্কুলের গণ্ডি পার করেনি, সে কীভাবে চিকিৎসক হয়! আমার এক ভাগ্নে রকির অপচিকিৎসায় এখন প্রায় পঙ্গু। এরকম অনেক লোক আছে যারা রকির এই হাতুড়ে চিকিৎসায় বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হয়েছেন৷’
নিবন্ধনবিহীন একটি তথাকথিত সামাজিক সংগঠন খুলে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগও রয়েছে রকির বিরুদ্ধে৷ স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, এই সংগঠনের আড়ালে নিজের অপকর্মগুলো ঢাকতে চেষ্টা করেন রকি। স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির নামও উঠে এসেছে রকির শেল্টারদাতা হিসেবে।
অভিযোগের বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয় রকির সাথে ৷ তিনি কোন বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেছেন, এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেননি ৷ এসএসসি পাশ না করেও তিনি কীভাবে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করছেন, এমন প্রশ্নে কিছুক্ষণ নীরব থাকেন রকি ৷ এরপর বলেন, ‘আমি একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ফার্মেসি কোর্স করেছি।’ যদিও সেই প্রতিষ্ঠানের নাম তিনি জানাতে পারেননি।
এমবিবিএস এর সার্টিফিকেট ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর সনদ ছাড়া কেউ নামের আগে ডাক্তার পদবী ব্যবহার করতে পারেন কিনা, এমন প্রশ্নেরও কোনো উত্তর দিতে পারেননি তিনি৷