ফতুল্লায় এক নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে পেশাদার সন্ত্রাসী, শীর্ষস্থানীয় চাঁদাবাজ, পুলিশের উপর হামলাসহ বহু সংখ্যক বেশী মামলার আসামী মাসদাইর বাড়ৈভোগ এলাকার মূর্তিমান আতংক ফেরদৌস কে আটক করে গনপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টায় ফতুল্লা মডেল থানার মাসদাইর বাড়ৈভোগ ঘোষেরবাগ গাইবান্ধা বাজার এলাকায়। ফেরদৌস ফতুল্লা মডেল থানার মাসদাইর বাড়ৈভোগ ঘোষেরবাগ এলাকার লেবু মিয়ার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ শেখ রিজাউল হক দিপু জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসী ফেরদৌস গাইবান্ধা বাজার এলাকায় এক নারীর বাড়ীতে প্রবেশ করে জোড় পূর্বক ঐ নারী কে ধর্ষনের চেস্টা করলে তার ডাক-চিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাকে আটক করে গড়নপিটুনী দেয়।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মারমুখি জনতার হাত থেকে ফেরদৌসকে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নেয়।বর্তমানে ফেরদৌস ঢাকার চু হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করছে।
তিনি আরো জানান, ফেরদৌস একজন দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় বহু সংখ্যক মামলা রয়েছে। সে সাম্পতিক সময়ে জামিনে বেরিয়ে এসে এলাকায় মহড়া সহ চাঁদাবাজী, ছিনতাই, লুটতরাজ করে স্থানীয়বাসীকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিলো।
উল্লেখ, বেশ কয়েকমাস কারাভোগের পর সা¤প্রতিক সময়ে ফেরদৌস আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে পুরোনো সহোযোগিদের সু-সংগঠিত করে আবারো চাঁদাবাজী,ছিনতাই, লুটতরাজ সহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সক্রিয় হয়ে পরে।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাত সাড়ে দশটার দিকে ফেরদৌসের নেতৃত্বে জাহিদ, দিপু, কায়েস, রাকিব, শুভ, সালাম, বাবু, দ্বিপজল, ভুলু,অনিক সহ আরো ৮-১০ সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রে- সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গাইবান্ধা বাজারে এসে দুটি মুদি দোকান, একটি মোবাইলের দোকান, একটি ঔষধের দোকানসহ বেশ কয়েকটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ক্যাশবাক্স থেকে লুট করে নিয়ে গেছে ৪০-৫০ হাজার টাকা।
তিনি আরো জানান, প্রায় সময় এই বাহিনীর সদস্যরা গাইবান্ধা বাজারের ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চাঁদাদাবী সহ কোর পূর্বক মালপত্র নিয়ে যায়।
এর আগেও ফেব্রæয়ারী মাসে ফেরদৌস সহ ১৫-২০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল বাজারে প্রবেশ করে বেশ কয়েকটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট করে। এতে করে মামলা হলে পুলিশ ফেরদৌসসহ এই বাহিনীর বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করে। সা¤প্রতিক সময়ে তারা আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে আরো বেশী বেপোরোয়া উঠেছে।
থানা পুলিশ সুত্র জানায়, পুলিশের উপর হামলার মামলা, চাদাঁবাজি, মাদকসহ নয়টি মামলা রয়েছে।