ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ চতলারমাঠ এলাকায় লঞ্চের ধাক্কায় নদীর পানিতে ডুবে যাওয়া ট্রলার ও নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীদের অবহেলার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছে স্বজনরা। শনিবার দুপুর ১২টায় ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ খেয়া ঘাটের সামনে সড়কে আগুন দিয়ে প্রায় এক ঘন্টা বিক্ষোভ করেন স্বজনরা। এসময় আতংক ছড়িয়ে পড়লে উদ্ধারকারী কেউ নদী থেকে তীরে আসেনি।
বিক্ষোভকারীরা জানান, ৪দিন হলো লঞ্চের ধাক্কায় যাত্রীসহ ট্রলার ডুবির ঘটনা। এরমধ্যে ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড ও নৌপুলিশসহ উদ্ধারকারী কোন সংস্থাই তেমন তৎপরতা দেখায়নি। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীরা স্পিটবোর্ডে নদীতে ঘুরে আর বসে বসে সময় কাটান। এভাবে পানির নিচ থেকে কিছুই উদ্ধার করা যাবেনা। তাদের এ অবহেলা সরকারের সংস্থা গুলোর দূর্নাম করছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, আমাদের ফায়ার সার্ভিস সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। পাশাপাশি কোস্টগার্ড, নৌপুলিশও চেষ্টা চালাচ্ছে। যতক্ষন ট্রলার ও নিখোজদের সন্ধান পাওয়া না যাবে ততক্ষন আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর নৌ-নিরাপত্তা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে ঘাতক লঞ্চ এম ভি ফারহান-৬ এর মাস্টার, চালক ও সুকানি সহ ৩জনের বিরুদ্ধে দায়ীত্ব অবহিলোর অভিযোগে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন।
এদিকে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আহবায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। আগামী দশ কার্য্যে দিবসের মধ্যে এঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে তদর্ন্ত কমিটিকে।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, ৫ জানুয়ারী বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে ঢাকাগামী এম.ভি ফারহান-৬ নামে লঞ্চ বেপরোয়া গতিতে এসে ৪০/৫০ জন যাত্রীসহ খেয়া পারাপারের একটি ট্রলারকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় ৮জন ট্রলারের যাত্রী নিখোঁজ হয়।
লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান (৪০), ইনচার্জ ড্রাইভার জসিম উদ্দিন ভুইয়া (৪০) ও সুকানি মোঃ জসিম মোল্লার (৩০) দায়ীত্ব অবহেলার কারনেই এই দূঘর্টনা ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ্য করা হয়েছে।