ফতুল্লায় পেশাদার সন্ত্রাসী, শীর্ষস্থানীয় চাঁদাবাজ, পুলিশের উপর হামলাসহ অর্ধ-ডজনেরও বেশী মামলার আসামী, মাসদাইর বাড়ৈভোগ এলাকার মূর্তিমান আতংক ফেরদৌস (২৫) কে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ফেরদৌস ফতুল্লা মডেল থানার মাসদাইর ঘোষেরবাগ এলাকার লেবু মিয়ার পুত্র।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে তাকে মাসদাইর গাইবান্ধা বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।গ্রেফতারের পরপর গ্রেফতারকৃত ফেরদৌসের শাস্তির দাবীতে ফতুল্লা থানা গেইটে বিক্ষোভ করে গাইবান্ধা বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা।
থানা পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত ফেরদৌসের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে ৩১ ডিসেম্বর রাতে পুলিশের উপর হামলার মামলা, চাদাঁবাজি, মাদকসহ প্রায় সাতটি মামলা রয়েছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক হুমায়ুন-২ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাসদাইর বাড়ৈভোগস্থ গাইবান্ধা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফেরদৌস কে গ্রেফতার করে।
থানা গেইটে আসা গাইবান্ধা বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা(দোকানীরা) জানায়,গত কয়েকমাস ধরে গাইবান্ধা বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের(দোকানীদের) নিকট থেকে মাসদাইর ঘোষেরবাগ এলাকার আলি মিয়ার ছেলে জাহিদ (২৪), একই এলাকার গলাকাটা হৃদয় (২২), রাসেল (২৬) সুজন (২২) ও গ্রেফতারকৃত ফেরদৌস সহ অজ্ঞাতনামা আরো বহু সংখ্যক সন্ত্রাসী সংঘবদ্ধ হয়ে চাঁদাবাজী করে আসছিলো। তাদের চাহিদা মোতাবেক চাঁদা না দিলে দোকান বন্ধ করে দেওয়া সহ রাতের অন্ধাকারে দোকানে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেবার হুমকি দিয়ে চাদাঁ দাবী করে আসছিলো।এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার ৭ টার দিকে অভিযুক্ত আসামী সহ অজ্ঞাতনামা আরো সন্ত্রাসীরা বাজারে প্রবেশ করে বিভিন্ন দোকানীদের নিকট থেকে চাদাঁদাবী করে বিভিন্ন দোকানীদের নিকট থেকে জোড় পূর্বক প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় গাইবান্ধা বাজারের ব্যবসায়ীদের পক্ষ ফতুল্লা মডেল থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান,গ্রেফতারকৃত ফেরদৌস সহ তার সহোযোগিরা গাইবান্ধা বাজারের ব্যবসায়ীদর নিকট থেকে দীর্ঘদিন ধরে চাদাঁদাবী করে আসছিলো। গাইবান্ধা বাজারের এক ব্যবসায়ীর দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলায় ফেরদৌস কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া গ্রেফতারকৃত ফেরদৌসের বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলার মামলা সহ প্রায় সাতটি মামলা রয়েছে বলে তিনি জানান।