ফতুল্লায় একটি টিনসেড বাড়িতে তিতাস গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধরা হলেন- আলম ৩৫), রমজান (২২) ও রিফাত (১৩)।
তাদের তিনজনের বাড়ি কুমিল্লায়। পেশায় তারা রঙ মিস্ত্রী। দগ্ধদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজধানির শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাত বারোটার দিকে সদর উপেজলার ফতুল্লা থানার বাঁশমুলি এলাকায় খলিল মুন্সীর বাড়ির ব্যাচেলর ভাড়াটেদের ঘরে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। বিস্ফোরণে ঘরের চিনের চাল উড়ে যায় এবং উপর দিকে দেয়ালের কিছু অংশ ধসে পড়ে।
এদিকে বিস্ফোরণ হওয়া ঘরটির ভেতরে গ্যাস লাইনের একটি রাইজার এবং মেঝেতে সিগারেটের পোঁড়া অংশ ও একটি লাইটার ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এলাকাবাসির ধারণা, গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে ঘরের ভেতরে গ্যাস জমে ছিল। কেউ সিগারেট ধরালে সেই আগুন থেকে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, দগ্ধদের মধ্যে আলমের শরীরের ৭২ শতাংশ, রমজানের ৫৮ শতাংশ এবং রিফাতের ২৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ভোরের দিকে তিনজনকে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
যিনি তাদের নিয়ে এসেছেন তিনি জানিয়েছেন ঘরের ভেতর গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে আগুনে দগ্ধ হয়েছেন তারা। স্থানীয় থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আযম খান বলেন, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে কারো দোষ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।