নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার কাশিপুরে কোস্টগার্ড বিনা নোটিশে মালিকানা জমি দখলের চেষ্টার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী জমির মালিকরা। তারা যেকোন মূল্যে তাদের পৈত্রিক সূত্রের মালিকানা জমি ধরে রাখতে চায়।
কোন ভাবে তারা কোস্টগার্ডকে জমি দখল করতে দিবে না। প্রয়োজনে তারা রাজপথে নামতে প্রস্তুত রয়েছে। শনিবার (১৩ মে) সকালে ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়নের মধ্যনরসিংপুর এলাকাস্থ ভুক্তভোগী জমির মালিকরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
এদিকে কাশিপুর-ডিগ্রিরচর খেয়াঘাটের আশে পাশের কয়েক শ’ শতাংশ জমি তারের ব্যারিকেট দিয়ে আটকে রেখেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। তারা কোন কিছু তোয়াক্কা না করে তিন পর্চার মালিকদের জমি দখলে নিতে নদীতে গত কয়েক বছর ধরে ঘাটি করে।
আর গত কয়েক মাস পূর্বে কোস্টগার্ড জমির মালিকদের কোন ধরনের নোটিশ না দিয়েই তারের বেড়া এবং সিমেন্টে খাম দিয়ে বাউন্ডারি করে। এতে করে জমির মালিকরা ফুসে উঠে।
কোস্টগার্ডের ব্যারিকেটের কারণে জমির মালিকরা তাদের জমিতে যেতে পারছে না। জমিতে চাষাবাদ করতে পারছে না। এখানে বেশির ভাগ জমির মালিক দিনমজুর এবং নিরীহ লোক। কোন জায়গা সরকারি ভাবে প্রয়োজন হলে জমির মালিকদের নোটিশের মাধ্যমে অবগত করে ক্ষতিপূরণ দিয়ে জমি নেয়।
কিন্তু কোস্টগার্ড কাউকে কোন নোটিশ না দিয়ে জোরপূর্বক ভাবে জমি দখলের পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জমির মালিকের একজন মোমেন শিকদার, শ্রমিক নেতা মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, হোসিয়ারী সমিতির পরিচালক আমিরুল্লাহ রতন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম শহিদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নাজমুল হাসান, রেজা, মুন্না প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কাশিপুর মৌজার মধ্যনরসিংপুর, ডিগ্রিরচর ঘাটসহ আশে পাশের কয়েক হাজার শতাংশ জমি রয়েছে। এই জমি গুলো সিএস, এসএ এবং আরএস মুলে মালিকানা হয়ে নামজারী করে খাজনা দিয়ে ভোগদখল করে চাষাবাদ সহ বিভিন্ন করে আসছিল।
গত কয়েক বছর আগে নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য বিনোদনের ব্যবস্থায় পার্ক নির্মানের পরিকল্পনা করেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান। এতে করে ঐ জমিতে স্থানীয় সার্ভেয়ারদের নিয়ে এসিল্যান্ড মাপের কাজও করেন।
এমপি শামীম ওসমান ঐ সময় বলেছিলেন জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে জমি নেয়া হবে। মালিকানা জমি ছাড়াও খাসের জমি নেয়া হবে। কিন্তু হঠাৎ করে কাউকে কোন নোটিশ না দিয়ে কোস্টগার্ড জমি দখলের চেষ্টায় তারের বেড়া এবং সিমেন্টে খাম দিয়ে বাউন্ডারি করে।
বক্তারা আরও বলেন, জমির মালিকদের সাথে আলোচনা না করে কোস্টগার্ডকে জমি দখল করতে দেয়া হবে না। আমরা চাই না কোস্টগার্ডের সাথে আমাদের কোন ঝামেলা হউক। আমরা কোস্টগার্ডের দেয়া ব্যারিকেট আমরা সরাতে চাই না।
তারা যেন সম্মানে সহিত সিমেন্টের খাম ও তার গুলো সরিয়ে নিয়ে যায়। আমরা আমাদের জমি ফিরিয়ে পেতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড স্টেশন পাগলা এর স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট শাম্স সাদেকীন নির্নয় এর মোবাইলে ফোন দিলে তিনি ফোনটি কেটে দেন।