ফতুল্লার পাগলা এলাকায় নিজের কিশোরী মেয়েকে (১৫) ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মোঃ রুবেল (৩৭) নামের এক লম্পটকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার মো. রুবেল নোয়াখালী জেলার সূবর্ণচরের চরলক্ষ্মী গ্রামের শাহজাহানের পুত্র। তবে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে করছেন এলাকার লোকজন।
রোববার (২৭ আগস্ট) ভোরে তাকে ফতুল্লা মডেল থানার পাগলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিচিত করেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সালেহা আক্তার তুহিন। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে গ্রেপ্তারকৃতের কিশোরী মেয়ে বাদী হয়ে ধর্ষণের চেস্টার অভিযোগে এনে গ্রেপ্তারকৃত মো. রুবেলকে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, কিশোরী মেয়েটি (বাদী) জন্মের ১ বছর পর তার বাবা- মায়ের ডিভোর্স হয়। তখন থেকে বাদী নোয়াখালী জেলার সূবর্নচরের আক্তার মির হাটে অবস্থিত তার নানা- নানীর বাসায় তাদের সাথে বসবাস করে আসছিলো।
অপরদিকে ফিরোজা বেগম এক নারীকে বাদীর বাবা গ্রেপ্তারকৃত মোঃ রুবেল বিয়ে করে ফতুল্লা মডেল থানার পাগলা চিতাশাল এলাকার সামছুল হকের বাড়ীর ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলো।
মো. রুবেল পাগলা-মুন্সিখোলায় ট্রাক ভাড়ার ব্রোকার হিসেবে এবং সৎ মা একটি গার্মেন্টসে কাজ করে আসছিলো। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে গ্রেপ্তারকৃত রুবেল নানা-নানীর বাড়ী থেকে পাগলাস্থ নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসে ভুক্তভোগী কিশোরী মেয়েকে। চলতি মাসের ৪ তারিখ সকাল আটটার দিকে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা ও সৎ মা নিজ নিজ কাজে চলে যায়।
দুপুর ২ টার দিকে বাবা বাসায় খেতে আসে। বিকেল চারটার দিকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে তাকে জোরপূর্বক খাটে ফেলে দিয়ে পরিধেয় বস্ত্র খুলে ফেলে স্পর্শকাতর স্থানে হাত বুলায় বাবা।
এ সময় কিশোরী সজোড়ে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে ঘরের দরজা খুলে বাইরে গিয়ে চিৎকার করে তার সৎমায়ের বোন সুমি (২৩) খালার নিকট আশ্রয় নিয়ে সকল ঘটনা খুলে বলে। পরে তার সহোযোগিতায় ভুক্তভোগী কিশোরী মেয়ে নোয়াখালী গ্রামের বাড়ীতে চলে গিয়ে আত্নীয়-স্বজনদের অবগত করে।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আযম মিয়া (পি.পি.এম) জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।