ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদলের ছেলে নাজমুল হাসান সাজনসহ আওয়ামী লীগের ৪ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তুলে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্তার হোসেন নামের এক ব্যক্তি। অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রেহান শরীফ বিন্দু, কাশীপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আমজাদ হোসেন ও যুবলীগ নেতা আমজাদ। অভিযোগকারী আক্তার ফতুল্লা এলাকার চৌধুরী বাড়ির মৃত আলাউদ্দিন বেপারীর পুত্র।
লিখিত অভিযোগে আক্তার হোসেন দাবি করেন, দুই বছর পূর্বে আমার মা মারা যাওয়ার আগে বক্তাবলী মৌজায় ৭ শতাংশ জমি রেখে যান। যার খরিদাসূত্রে আমি মালিক হই। একই জমির সাথে আমার বোন রিনা বেগম খরিদা সূত্রে ৩ শতাংশ জমির মালিক হয়। আমার প্রতিবেশী মাহবুব ও তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন একই দাগে ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে। আশরাফুর ও আসাদুর নামের আরও দুই ব্যক্তি একই তফসিলভুক্ত জমির সাড়ে ৪ শতাংশ জমি ক্রয় করে। মো. বাবুল ওরফে ওসমান গনি ১০ ও আক্কাস আলী নামের আরও এক ব্যক্তি সাড়ে ৯ শতাংশ জমি ক্রয় করে ওই তফসিলভুক্ত জমিতে। কিন্তু নাজমুল হাসান সাজন, রেহান শরিফ বিন্দু, আমজাদ হোসেন ও আমজাদ গংরা ওই জমি জোরপূর্বক দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে।
এ বিষয়ে আদালতে দু’টি মামলা চলমান আছে। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে অভিযুক্তরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমাদের জমির প্রায় সাড়ে ১৯ শতাংশ জমি জোরপূর্বক মাটি ভরাট করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছে। বিবাদিরা লুৎফর রহমান নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে সাড়ে ১৯ শতাংশ জমি জাল দলিলের মাধ্যমে লিখে নিয়ে আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করছে।