বিশেষ সংবাদদাতা : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর হামলা চালানো নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার নয়ামাটি এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী শরীফ, বাদশা, চুন্নু ,মিঠুন। তারা এলাকায় বীর দর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের নামে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর হামলায় হত্যা মামলা ও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ।
শরীফকে গ্রেফতার করা হলে ও পরে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ফতুল্লা থানার দারোগা রফিক ও সুজন ফকিরের বিরুদ্ধে। গত ৬ অক্টোবর রবিবার দুপুরে তাকে গ্রেফতার এর পর রাতেই ছেড়ে দেয় পুলিশ।
ফতুল্লা থানার নয়ামাটি এলাকার মৃত সোলাইমান মিয়ার ছেলে শরীফ হোসেন দীর্ঘদিন আওয়ামিলীগ নেতা পরিচয়ে এলাকায় দখলবাজি, চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অপকর্ম করেছেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, মাদক ও সর্বশেষ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে ছাত্রজনতার উপর হামলাকারী হিসেবে সংশ্লিষ্ট থানা সহ সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা হয়। সরকার পতনের পর শরীফ ভোল পাল্টে বি এন পি’র ভূঁইফোড় সংগঠন কোকো স্মৃতি সংসদ নামে এক সংগঠনের থানা কমিটির আহ্বায়ক হন পিঠ বাঁচাতে ও আধিপত্য বিস্তার করে এলাকায় মিল ফ্যাক্টরী দখল করার জন্য এবং সে উক্ত এলাকার সুপারস্টার, এবলুম ফ্যাশন সহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান দখল করে ওয়েস্টেজ মালামাল নামানো শুরু করে ও তা এখনো অব্যাহত আছে। তার জন্য উক্ত এলাকার শিল্প মালিকরা অতিষ্ঠ। বর্তমানে সে উক্ত এলাকার সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টরী ইউরোট্যাক্সের মাল নামাতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।এদিকে শরীফের ভাই বাদশার নামে ও ১৪/ ১৫ টা মাদকের মামলা রয়েছে। দুই ভাইয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসি।
অপরদিকে ফতুল্লা নয়া মাটির আরেক আতঙ্ক চুন্নু ও মিঠুন।আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী তালেব হোসেন পুইক্কার ছেলে মাদক ব্যবসায়ী চুন্নু ও আম্বর আলীর ছেলে মিঠুন
তাদের নামেও ছাত্রজনতার উপর হামলায় হত্যা মামলা রয়েছে।
র্যাবের তালিকা ভুক্ত আসামি চুন্নু ও মিঠুন। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে শাহ নিজামের ছত্রছায়ায় নায়ামাটি এলাকায় মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেন এই দুই সেনাপতি। কয়েক বার র্যাব পুলিশ ধরে নিলেও তাদের রাখতে পারেনি ছেড়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতন হওয়ার পরও তারা এখনো বীরদর্পে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অনেকে আবার বিএনপির সাথে আতাত করে এলাকায় বীর দর্পে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের প্রতি এলাকাবাসীর দাবী এদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা।