নিজস্ব প্রতিবেদক : ফতুল্লায় প্রতারণায় অভিযুক্ত হয়ে আলতাফ হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার বিকালে শহরের মার্ক টাওয়ারের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরআগে বিজ্ঞ আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেছিল বলে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এএসআই শামিম। তিনি বলেন, আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিলো। আমরা আদালতের আদেশ পালন করে গ্রেপ্তার করেছি।
জানা গেছে, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্র্যোট, আমলী আদালত নং-২ (ফতুল্লা) পিটিশন মামলা নং-৪৮০/২০২৩ তারিখ ৩০/১১/২০২৩, ধারা ৪০৬/৪২০/৫০৬ পেনাল কোড সূত্রে অনুসন্ধানের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) বিজ্ঞ বিচারক নির্দেশ দেন। পরবর্তিতে প্রতিবেদন দাখিল করলে আলতাফের বিরুদ্ধে বিশ্বাস ভঙ্গ এবং প্রতারণা করার সত্যতা পাওয়া যায়।
পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের সারমর্মে উল্লেখ রয়েছে, মামলাটির সার্বিক প্রকাশ্য গোপন তদন্ত, ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা, সাক্ষীদের প্রদত্ত জবানবন্দী, বিতর্কিত সাক কবলা দলিল নং ১৬৬৭, ১৬২৩৯, ১৫৬১৭ এবং ২২৫২ এর সত্যতা যাচাই প্রতিবেদন, সংশ্লিষ্ট দলিলাদি ও তথ্যাদি পর্যালোচনায় মামলার ১নং বিবাদী মো. আলতাফ হোসেন (৬৫), পিতা- মৃত. বন্দে আলী মুন্সী কতৃক সাফ কবলা দলিল নং-১৬৬৭ ও ১৬২৩৯ মূলে তার ওয়ারিশ মূলে প্রাপ্ত সম্পত্তি বিক্রয় ও হস্তান্তর করার পরও প্রতারণার উদ্দেশ্যে দেওয়ানী মোকদ্দমা নং-১৪০/২০২২ ও এর হলফনামায় উক্ত দলিল দুটি অস্বীকার করার কথা বলেন এবং সাফ কবলা ১৫৬১৭ নং দলিল টি অবৈধ ও বাতিল বলে বাদীর স্ত্রীর ও বাদীর সম্পত্তি পুনরায় দখল করার উদ্দেশ্যে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে প্রতারণা করে মামলার আরজিতে উল্লেখিত তফসিলভূক্ত ভূমি নিজের নামে আত্মসাৎ করার চেষ্টা করায় বিবাদীর বিরুদ্ধে বাদীর আনিত দÐবিধি আইনের ৪০৬/৪২০ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।
প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত করে এ বিষয়ে দেওয়ানী মোকদ্দমা নং-১৪০/২০২২ এর মামলার বিবাদি আহাম্মদ হোসেন বাবু ও আলাউদ্দিন মাতবর জানায়, আলতাফ শুধু আমাদের সাথেই নয় অনেকের সাথেই প্রতারণা করে প্রকাশ্যে বেড়াচ্ছে। এবার আদালতের নির্দেশে তাকে গেপ্তার করা হয়েছে। তার প্রতারণার বিভিন্ন তথ্য প্রমান আমাদের কাছে রেখেছি যা বিজ্ঞ আদালতেও জমা দেয়া হয়েছে। আমরা সুষ্ঠ‚ বিচারে আশাবাদি রয়েছি।