শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:২২ অপরাহ্ন

প্রস্তুতিতেই গেছে ২৬ বছর, এবার বাস্তবায়ন হবে তো

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৫, ১১.৪৮ এএম
  • ০ বার পড়া হয়েছে

দেশের উচ্চ আদালত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার সংবিধান স্বীকৃত বলে ঘোষণা দিলেও দীর্ঘ ২৬ বছরেও সেই ঘোষণা বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। গত পাঁচ বছরেও অন্তত ছয়বার এ ঘোষণা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিতই থেকেছেন প্রবাসীরা। তবে সরকার পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেড় থেকে দুই কোটি প্রবাসীর ভোট দেওয়ার সুযোগ রাখতে চায় নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এ জন্য প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন তোড়জোড় শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এরই মধ্যে গত বুধবার ৪০টি দেশে বসবাসরত নাগরিকদের তথ্য চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পেলেই শুরু হবে নিবন্ধন কার্যক্রম। তবে প্রশ্ন উঠেছে প্রবাসীদের ভোট প্রয়োগের মাধ্যম নিয়ে। কোন উপায়ে কীভাবে ভোট দেবেন প্রবাসীরা। এ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় রয়েছে ইসির কর্মকর্তারা।

কারণ বর্তমান পদ্ধতি পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে এর আগেও একাধিকবার উদ্যোগ নিয়ে সফল হয়নি ইসি। তাই প্রবাসীদের ভোটে আনতে হলে নতুন কোনো উদ্যোগ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান আরপিও সংশোধন করতে হবে। তা না হলে স্বপ্নই থেকে যাবে প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ।

সম্প্রতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর দেড় থেকে দুই কোটি প্রবাসীকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। সংস্কার কমিশনের খসড়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি দূতাবাসগুলোর কাছে দেওয়া হবে এবং তাদের পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। পোস্টাল ব্যালট যাতে বিশ্বাসযোগ্য হয় সে ক্ষেত্রে ব্লক চেইন পদ্ধতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

এর অংশ হিসেবে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের বিষয়ে মতামত দেওয়ার জন্য অনলাইন সভায় অংশ নিতে গত বছরের ১৪ নভেম্বর সংস্কার কমিশনের ফেসবুক পেজে আহ্বান জানানো হয় প্রবাসীদের। তাদের ২০ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়। এতে তেমন সাড়া না পেয়ে ২১ নভেম্বর আবারও একই আহ্বান করা হয়। এরপর ডিসেম্বরে প্রবাসীদের সঙ্গে অনলাইনে মতবিনিময় করেছে সংস্কার কমিশন। পোস্টাল ব্যালট বাস্তবায়নের বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং (ই-ভোটিং) ও ব্লকচেইন বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ সাদেক ফেরদৌস।

সময়ের আলোকে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য আমরা একটা সুপারিশ রাখছি। ডিসেম্বরে প্রবাসীদের সঙ্গে একটি মিটিং হয়েছে। আমরা দেখেছি, চারটা পদ্ধতিতেই ভোট নেওয়া যায়। এর মধ্যে সরাসরি কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়া, প্রক্সি ভোটিং, অনলাইন ভোটিং ও পোস্টাল ভোটিং। এর মধ্যে কোন মাধ্যমে করলে ভালো হয় সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। আরপিওতে যে পোস্টাল ভোটিংয়ের কথা বলা আছে সেটি প্রবাসীদের জন্য নয়। এটি দেশে যারা ভোটে অনুপস্থিত থাকে তাদের জন্য। প্রবাসীদের ভোট যে পদ্ধতিতেই নেওয়া হোক না কেন আরপিওতে পরিবর্তন আনতে হবে।

এদিকে গত ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সভাপতিত্বে ‘জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা এবং নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ কমিটির’ প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন এবং ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ জানুয়ারি ৪০টি দেশে বসবাসরত নাগরিকদের তথ্য চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অধীনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ ও আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর অ্যানহ্যান্সিং অ্যাক্সেস টু সার্ভিসেস (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বিশ্বের ৪০টি দেশে অবস্থানরত বা বসবাসরত বাংলাদেশিদের প্রবাসেই ভোটার হিসেবে নিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন ওই ৪০টি দেশে প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন এবং আগামী নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের অগ্রাধিকার এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে উল্লিখিত ৪০টি দেশের তথ্যাদি প্রয়োজন।

যে ৪০টি দেশের তথ্য চেয়েছে ইসি : দেশগুলো হলো-সৌদি আরব, বাহরাইন, হংকং, স্পেন, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, বেলজিয়াম, সংযুক্ত আরব আমিরাত, লেবানন, মিসর, জার্মানি, নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, কুয়েত, জর্ডান, ব্রুনাই, দক্ষিণ আফ্রিকা, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ব্রাজিল, ওমান, লিবিয়া, মৌরিশান, ফ্রান্স, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, চীন, কাতার, সুদান, ইরাক, নেদারল্যান্ডস, সাইপ্রাস, ইতালি, গ্রিস, ইন্দোনেশিয়া।

যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে : সংশ্লিষ্ট দেশে বসবাসরত বাংলাদেশির সম্ভাব্য সংখ্যা (১ জানুয়ারি ২০২৫-এর পূর্বে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব), ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিকদের সম্ভাব্য সংখ্যা, ওই দেশে বসবাসরত (বাংলাদেশ ব্যতীত) অন্যান্য দেশের প্রবাসীদের ভোটিং সিস্টেম (যদি থাকে), প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটগ্রহণ পদ্ধতির বিষয়ে মিশন অফিসের সুপারিশ, এ সংক্রান্ত মিশন অফিসের অন্য কোনো সুপারিশ (যদি থাকে)। প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটার নিবন্ধন এবং নির্বাচনে ভোটিং সিস্টেমে অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে ৪০টি দেশের মিশন অফিস থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্যাদি সংগ্রহ করে আগামী ১৫ জানুয়ারি মধ্যে কমিশন সচিবালয়ে পাঠাতে বলেছে ইসি।

ইসির জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) মো. আবদুল মমিন সরকার সময়ের আলোকে বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটগ্রহণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য আমরা ৪০টি দেশে বসবাসরত নাগরিকদের তথ্য চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দিয়েছি। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। যদি তথ্য পেয়ে যাই তা হলে আমরা কার্যক্রম শুরুর জন্য সম্মতি চেয়ে আবারও চিঠি দেব। প্রবাসীরা কোন মাধ্যমে ভোট দেবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কোন মাধ্যমে কীভাবে তারা ভোট দেবে সেটি নিশ্চিত নয়। কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

ইসি সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে দেশের উচ্চ আদালত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার সংবিধান স্বীকৃত বলে ঘোষণা দিলেও দীর্ঘ ২৬ বছরেও সেই ঘোষণা বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। ২০১৯ সালে কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন প্রবাসে এনআইডি সরবরাহের উদ্যোগ হাতে নেয়। ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীদের মাঝে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। তার আগে একই বছর ৫ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার অংশ হিসেবে অনলাইনে আবেদন নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এরপর ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অনলাইনের ভোটার করে নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করে ইসি। এরপর সৌদি আবর, সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপে থাকা বাংলাদেশিদের জন্যও এ সুযোগ চালু করা হয়। সে সময় অনলাইনে আবেদন নিয়ে সেই আবেদন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপজেলা থেকে যাচাই করে সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্ট দেশে দূতাবাস থেকে এনআইডি সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল। এরপর করোনা মহামারির কারণে থমকে যায় দূতাবাসের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা। এরপর কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই কার্যক্রমকে ফের উজ্জীবিত করেন। এ ক্ষেত্রে আগের আবেদনগুলো পাশ কাটিয়ে নতুন করে কার্যক্রম শুরু করেন তারা। এরপর কয়েক দেশে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করে ইসি।

ইসির জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন ও প্রবাসী শাখা সূত্র জানা যায়, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত সাতটি দেশে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশগুলো হলো-কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ইতালি ও ইউকে। এসব দেশে এ পর্যন্ত ভোটার হয়েছেন ১৪ হাজার প্রবাসী। ধারাবাহিকভাবে তাদের কাছে স্মার্ট কার্ডও পাঠিয়েছে ইসি। এখন পর্যন্ত সাড়ে আট হাজার প্রবাসীর হাতে পৌঁছেছে স্মার্ট কার্ড। আগামী দুই মাসের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায়ও ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করবে ইসি।

এদিকে ভোটার হলেও জাতীয় নির্বাচন ভোট দিতে পারবে কি না এ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। কোন মাধ্যমে কীভাবে প্রবাসীরা ভোট দেবেন তা নিয়ে এখনও পরিষ্কার নন ইসি কর্মকর্তারা। কারণ বিদ্যমান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, বাংলাদেশি ভোটাররা দুভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। একটি হচ্ছে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে সরাসরি ভোট দেওয়া, অন্যটি পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়া। পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ১৫ দিনের মধ্যে ভোটারকে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ব্যালট পেপারের জন্য আবেদন করতে হয়। প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর ডাকঘরের মাধ্যমে ব্যালট পেপার আবেদনকারী ভোটারের কাছে পৌঁছানো হয়। তিনি ভোট দিয়ে সিলগালা করে ব্যালট ডাকঘরের মাধ্যমে নির্বাচনের দিন ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠান। এ প্রক্রিয়া বেশ সময়সাপেক্ষ, তাই তা কার্যকর নয় বলে জানিয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা।

এ বিষয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম সময়ের আলোকে বলেন, বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে পোস্টাল ব্যালটের সিস্টেম চালু আছে। প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের আগে এটি ছাপানো হয় এবং রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়। এর চ্যালেঞ্জিং বিষয় হলো-ভোটারকে অবশ্যই তার ভোটার এলাকা ও ভোটার নম্বরটা জানতে হবে এবং ভোটের দিন বিকাল ৪টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পৌঁছাতে হবে। তা হলেই তার ভোটগণনার আওতায় আসবে। কেউ পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে চাইলে তাকেও সচেতন হতে হবে। সিডিউল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা হলো পোস্টাল ব্যালটে খুব নগণ্যসংখ্যক ভোট আসে। তবুও যেহেতু এটি আইনে আছে এ জন্য রাখা হয়। এটি নতুন কিছু নয়। তারা যদি কোনো নতুন টেকনোলজি যুক্ত করেন তা হলে ভিন্ন বিষয়। পুরোনো ব্যবস্থায় ভোট করলে এটি অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে। আর যদি নতুন কোনো নিরাপদ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তা হলে এটি কার্যকর করা সম্ভব হবে।

রফিকুল ইসলাম বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম যদি চালু করে এবং ইলেকট্রনিক ব্যালটকে যদি আইনগত বৈধতা দেওয়া যেত তা হলে সহজতম পদ্ধতিতে ই-ভোটটা দেওয়া যেত। সমস্যা হচ্ছে, আমাদের ইন্টারনেট ব্যবস্থাটা পুরোটাই প্রাইভেট সিস্টেম। তাই সিকিউরিটি নিশ্চিত করা একেবারেই অসম্ভব।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort