শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন

প্রত্যেক নাগরিকের একমাত্র পরিচয় আমরা বাংলাদেশি

  • আপডেট সময় শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮.৫৪ এএম
  • ১ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, কে মুসলমান, কে হিন্দু, কে বৌদ্ধ, কে খৃষ্টান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমাদের এমন কোনো জিজ্ঞাসা ছিলো না। আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু এসব নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি-অবাঙালি বিশ্বাসী অবিশ্বাসী কিংবা সংস্কারবাদী প্রতিটি নাগরিকের একমাত্র পরিচয় আমরা বাংলাদেশি। তাই ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠিত জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সন্মানে শুভেচ্ছা তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে র আয়োজন করে বিএনপি। এতে সারা দেশ থেকে কয়েক‘শ হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা অংশ নেন। তিনি সবাইকে দূর্গাপূজার অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান। তারেক বলেন, এই বাংলাদেশ আপনার-আমার, আমাদের সবার। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক সকল ক্ষেত্রে সমান অধিকার ভোগ করবে এটাই বিএনপির নীতি এটাই বিএনপির রাজনীতি। বিএনপি বিশ্বাস করে দলমত ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার।

তারেক রহমান বলেন, গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনে সবচেয়ে বড় উদাহরণ… গত ১৫ বছরে যা হয়েছে আপনারা দেখেছেন। সারাদেশে আইনের শাসন ছিলো না বলেই কিন্তু প্রধান বিচারপতি হয়েও এসকে সিনহাকে অবিচারের শিকার হতে হয়েছিলো। পলাতক স্বৈরাচারের আমলে আদালত আর আয়নাঘর একাকার হয়ে গিয়েছিলো। সুতরাং সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগরু দলমত ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকটা নাগরিকের অধিকার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে রাষ্ট্র ও সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।

সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে সকলকে নিয়ে রাজনীতি করা। আমাদের যে একটা ভয়াবহ দানবকে একটা অবিশ্বাস্য বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর লড়াই করে বিজয় অর্জন করেছি; তারপরে এই বিপ্লবে নস্যাৎ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র হয়েছে, চক্রান্ত হয়েছে এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই এবং দুঃখজনকভাবে আপনাদেরকে এর ভেতরে ফেলে দেবার চেষ্টা করা হয়েছে।

বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সহ সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু এবং হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব তপন দে‘র যৌথ পরিচালনায় শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান কল্যানের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার, ফেনীর কামাক্ষা চন্দ, খাগড়াছড়ির অজয় সেনগুপ্ত, সাভারের উত্তম ঘোষ, খুলনার সুজনা জলি, বরিশালের সঞ্জয় গুপ্ত, অবসরপ্রাপ্ত টিভি প্রযোজক মনোজ সেন গুপ্ত, গৌড় সিনহা প্র্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

ইসকানের চারু চন্দ্র্র দাস ব্রক্ষচারী, চট্টগ্রাম অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গোস্বামী, মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, গুলশান পূজা কমিটির জেএল ভৌমিক, পান্না লাল দত্ত, হিন্দু মহাজোটের সুশান্ত কুমার চক্রবর্তী, হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের নির্মল রোজারিও প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, কেন্দ্রীয় নেতা জয়ন্তু কুমার কন্ড, আবদুল বারী ড্যানি, অর্পনা রায়, রমেশ দত্ত, দেবাশীষ রায় মধু, সুশীল বড়ুয়া, জনগোমেজ, মিল্টন বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় এবং হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort