শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সারাবিশ্ব থেকে লোক আসবে লাঙ্গলবন্দে: সেলিম ওসমান

  • আপডেট সময় শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২২, ৩.২২ এএম
  • ১৯৪ বার পড়া হয়েছে

‘ফুটপাতে হকার ও যানজট নিয়ে অনেক মারামারি, অনেক কিছু হয়েছে। অথচ, আমরা মাত্র ১০ মিনিটে মতো কথা বলেছি, এই নারায়ণগঞ্জের দীর্ঘদিনের যানজট সমস্যা চলে গেছে। এখন আমাকে মানুষ ফোন করে প্রশ্ন; ভাই এটা কি করে সম্ভব হলো? যানজট নাই কেন, ফুটপাতে হকার নাই কেন? আমি বলবো, এ গুলো সম্ভব হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের কারণে। ’

জাতীয় মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ অষ্টমী স্নান উৎসব উপলক্ষে শুক্রবার (৮ এপ্রিল) বিকালে পূণ্য স্নান, ধর্মীয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান।

তাঁর ভাষ্য মতে, ‘এক সাথে এক টেবিলে বসলে নারায়ণগঞ্জের সকল সমস্যরই সমাধান হবে।’

 

সেলিম ওসমান বলেন, লাঙ্গলবন্দ স্নান ঘাটে আমার আসা হয়েছিল ২০১৫ সালে একটি গুজবে ১০ জনের মৃত্যুর পর। এরপর বেশ কয়েক বছরই এসেছি। কার্যক্রমের তদারকি করেছি। কিন্তু এই বছর আমার স্নান উৎসবের আগে আসতে হয়নি। কারণ নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, বন্দর থানার ওসি দিপক চন্দ্র সাহা ও ইউএনও বিএম কুদরত ই খোদা জুয়েল দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছেন। পাশাপাশি বাবু সরোজ কুমার সাহার নেতৃত্বে শিপন, সুজিতরা সব কিছু বাস্তবায়ন করেছেন। আর অর্থদিয়ে সহযোগীতা করেছেন অমল বাবু, পরিতোষ বাবু, প্রবীর বাবু, লিটন সাহা। কোথায় কি লাগবে, এটার দেওয়া নিয়ে তাদের প্রতিযোগীতা ছিল।

জাতীয় মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবু সরোজ কুমার সাহার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল।

সেলিম ওসমান বলেন, আপনারা দেখেছেন গত পূজায় হিন্দু ও মুসলমানের মাঝে, একটি বিভেদ সৃষ্টির জন্য ঠাকুরের কাছে গিয়ে একট কোরআন শরীফ দিয়ে এসেছে। এই কাজটি যারা করেছে, তারা বিচ্ছিন্ন মানুষ। তাদরে কোন ধর্ম নেই, তারা নাস্তিক। তাই এখানে ১৫০০ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছে। যাতে কেউ অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে।

 

সেলিম ওসমান আরো বলেন, যারা সবচেয়ে বেশি অসহায়, তারাই এখানে আসে। তাদের আগামী দিন গুলো যেন ভালো হয়, তারা যেন সুস্থ ভাবে থাকতে পারে। তার মেয়ের জন্য বিয়ে হয়, ছেলের জন্য চাকুরী হয়। এমন নানা মানত করে আসেন। এখানে স্নান করে আত্মাকে শান্তি দেই। এরপর ভাবে এবার বুঝি আমি উপর ওয়ালার কাছ থেকে কিছু পাবো। স্থানীয় এলাকাবাসীকে বলবো, এখানে যারা এসেছে, তারা আমাদের মেহমান। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ সকলকে সেবা দেওয়া। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আমরা যখন যুদ্ধ করেছিলাম, তখন কে মুসলিম, কে হিন্দু আর কে খ্রিস্টান দিখি নাই। সকলে মিলে যুদ্ধ করেছিলাম বলেই মাত্র ৯ মাসের মধ্যে দেশ স্বাধীন হয়েছি। তাই এলাকার মানুষের কাছে অনুরোধ করবো, যার যার ধর্ম সে, সে পালন করবেন। আনন্দটা সকলেই সম্মিলিত ভাবে করবেন।

এমপি সেলিম ওসমান আরও বলেন, লাঙ্গলবন্দে প্রায় ১২‘শ কোটি প্রকল্প এসেছে। এই কাজটা আমরা আশা করছি, আগামী স্নানের আগে ৭০ শতাংশ শেষ হবে। এখন বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লোক আসছে, ভারত থেকেও লোক আসছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সারাবিশ্ব থেকে লোক আসবে এই স্থানটি দেখতে।

জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপনের সঞ্চালনায় আরও ছিলেন বাংলাদেশ ক্লথ মার্চেন্ট এসোসিয়েশন এর সভাপতি প্রবীর কুমার সাহা, বাংলাদেশ ইয়ান মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি লিটন সাহা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. তোফাজ্জল হোসেন, বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম কুদরতে খুদা, বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দিপক চন্দ্র সাহা, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, মুসাপার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন প্রমুখ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort