আগামী ১৮ আগস্টের মধ্যে ৬দফা দাবি দাওয়া পুরণ না হলে পরবর্তী সপ্তাহ থেকে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করেছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স, এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন। শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুর ১২টায় রাজধানীর বিজয় নগর এলাকার ‘হোটেল ৭১’ এর কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স, এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন’র দাবী গুলো হলো, জ্বালানী তেল বিক্রয়ের প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে ৭% করতে হবে, জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট যা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক পেট্রোল পাম্পের প্রবেশ দ্বারের ভূমির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল করতে হবে কারণ প্রবেশদ্বার ব্যবহারকারীরা অর্থ্যাৎ সকল যানবাহন সরকারের নিয়ম মাফিক কর প্রদান করেন, ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতিত অন্য দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, মালিক কর্তৃক প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংকলরী শ্রমিকদের ৫ লক্ষ টাকা দূর্ঘটনা বীমা প্রথা চালু করার জন্য বীমা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করতে হবে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সকল জ্বালানী ডিপো সংলগ্ন ট্যাংকলরী শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত শৌচাগার ও বিশ্রামাগার নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স, এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন’র সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল এর সভাপতিত্বে, এ সভায় সারা দেশ থেকে পেট্রোল পাম্প প্রদা এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, ট্যাংকলরী মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিক ফেডারেশন এর নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।
এ সময় নেতৃবৃন্দ সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, অচিরেই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে। আগামী ১৮ই আগস্টের মধ্যে দাবি দাওয়া পুরণ না হলে পরবর্তী সপ্তাহ থেকে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও সভায় জ্বালানী তেলের কমিশন বৃদ্ধি, ট্যাংকলরী ভাড়া বৃদ্ধিসহ অন্যান্য দাবি বাস্তবায়নের জন্য জোড় দাবি জানানো হয়। একইসাথে পেট্রোল পাম্পের উপর আরোপিত বিভিন্ন সংস্থার অপ্রয়োজনীয় লাইসেন্স বাতিল করারও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মিজানুর রহমান রতন বলেন, পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে দাবি-দাওয়া সম্বলিত চিঠি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জ্বালানী মন্ত্রণালয় ও বিপিসি-কে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিনের দাবি গুলো এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি। বরং পেট্রোল পাম্প মালিকদের ব্যাবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে দিনের পর দিন প্রতিবন্ধকতা তৈরী করা হচ্ছে। আমরা বরাবরই চেয়েছি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা। কিন্তু আমাদের ন্যায় সঙ্গত দাবি পূরণ করা হচ্ছে না। আজ সারা দেশের পেট্রোল পাম্প মালিক, ট্যাংকলরী মালিক ও শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আগামী ১৮ই আগস্টের মধ্যে দাবি দাওয়া পুরণ না হলে পরবর্তী সপ্তাহ থেকে, কঠোর আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে। সে ক্ষেত্রে দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স, এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা আহবায়ক মিজানুর রহমান মিজান প্রধান, রাজশাহী বিভাগ থেকে আব্দুল আওয়াল জ্যোতি, খুলনা বিভাগ থেকে ফরহাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান নীলু, ঢাকা থেকে মীর সোহেল, মো. আতিকুর রহমান, রিয়াজ শহীদ, মো. ইয়াসীন, ব্যারিস্টার মনজুর এ মোরশেদ, শ্রমীক ফেডারেশন এর পক্ষে মো. আসলাম, মো. জাহীদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স, এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা আহবায়ক মিজানুর রহমান মিজান প্রধান বলেন, বর্তমানে যে কমিশন পাচ্ছি। তা থেকে ট্যাংকলড়ী ভাড়া কর্মচারীর খরচ বিভিন্ন লাইন্সেশ নবায়ন সহ যে খরচ হচ্ছে। তা দিয়ে এই কমিশনে তৈল বিক্রয় করে পেট্রোল পাম্প ব্যাবসা করা সম্ভব না। অতএব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আবেদন আমাদের কমিশন বৃদ্ধি করেন। না হলে আমাদের আন্দোলন সাড়া কোন উপায় নাই।