রুদ্রবার্তা২৪.নেট: জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেছেন, ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন ইংরেজদের হাতে পরাজিত হয়ে বন্দি হয়েছিলেন। ইংরেজ সৈন্য ছিলো সাড়ে ৩’শ থেকে ৪’শ। হাজারো মানুষ রাস্তার দুপাশে দাড়িয়ে দেখেছিলো সে দৃশ্য। তারা যদি একটি বারের মত প্রতিবাদ করতো তাহলে বাঙলার স্বাধীনতার সূর্য কখনো অস্তমিত হত না। ঠিক একই মিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের। বিশ্বাসঘাতকরা জাতির জনককে নৃশংসভাবে স্বপরিবারে হত্যা করে দেশের ক্ষমতা হাতে নিলো কিন্তু কেউ কোনো প্রতিবাদ করেনি। অর্থাৎ ১৭৪৭ সালের ২৩ জুন আর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একই ছকে বাধা।
রবিবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে জেলা ও সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, হত্যাকারীরা শুধু তখন জাতির জনককে হত্যা করতে চায়নি। হত্যাকারীরা বাঙালি জাতিসত্তা, আমাদের ধর্মীয় মূল্যবোধকে হত্যা করতে চেয়েছিলো। আমরা ৩-৪ দিন যাবত বলছি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জিবিত হবো। কি সে আদর্শ? আমার কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মানে হচ্ছে আমার নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা। আমার কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মানে হচ্ছে অসহায়দের পাশে দাড়ানো। আমি এটাই বুঝি। আপনারা যারা মুক্তিযোদ্ধা তাদের মাঝে আমি আমার বাবার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই। আপনারা আমাদের কাছে বটবৃক্ষ। আপনারা যেকোনো সমস্যায় পড়লে আমাকে জানাবেন। আমি তা সমাধানের চেষ্টা করবো। বক্তব্য শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
এসময় জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মো. আলীর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা জহুরা, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কমান্ডার শাহজাহান ভূইয়া জুলহাস, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ প্রমুখ।