ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এম.আসলাম মৃধা তার সহযোগীদের নিয়ে একটি নৌকায় আসর বসিয়ে ইয়াবা সেবন করেন।
এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া তার বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যরা ও এলাকাবাসীর বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে দীর্ঘ ৫ মাস তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়, সোমবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তার চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনের বিবরণ থেকে জানা যায়, উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এম আসলাম মৃধার বিরুদ্ধে ইয়াবা সেবন, তার পরিষদের এক নারী সদস্যর সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও জুটা পেটা করা, জন্ম নিবন্ধন, বিভিন্ন ভাতাভোগীদের নিকট থেকে সরকারী ফি এর চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়, ভিজিডির টাকা তার কাছে গচ্ছিত রাখা, সরকারী আদেশ নিষেধ অমান্য করা ও পরিষদের ১২ জন সদস্য কর্তৃক অনাস্থা প্রস্তাবে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়।
তাই স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনের বিধান অনুযায়ী এম.আসলাম মৃধার চেয়ারম্যান পদটি স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মো. আবু জাফর রিপন পিএ সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সোমবার শূন্য ঘোষণা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন মোতাবেক এম. আসলাম মৃধার চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণা সংক্রান্ত গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক জানান, বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম, অসৌজন্যমূলক আচরণ ও পরিষদের ১২ জন সদস্যর অনাস্থার প্রেক্ষিতে কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব এম আসলাম মৃধার পদটি শূন্য ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক চেয়ারম্যান আসলাম মৃধার পদটি শূন্য ঘোষণা করে ২-৩ দিনের মধ্যে গেজেট বিজ্ঞপ্তি আকারে জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যে এই পরিষদের সচিবকেও বদলি করা হয়েছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান এম আসলাম মৃধা যুগান্তরকে বলেন, আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে শুনেছি, তবে এখনো পর্যন্ত বরখাস্তের চিঠি আমার কাছে আসেনি। একটা অভিযোগ দিলেই কি সব সত্য হবে তা না। কেউ যদি আমাকে ফাঁসাতে মিথ্যা অভিযোগ দেয় সেইটার ভিত্তিতে কি আমাকে এমন করা ঠিক হয়েছে আপনিই বলেন? এলাকার কিছু লোকজন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।