নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, আপনারা এক সময়ে সরকারের কর্মকর্তা ছিলেন। সারাটি জীবন দেশের কল্যাণে কাজ করেছেন, মানুষের খেদমতে কাজ করেছেন, দেশের উন্নয়ন কাজ করেছেন। আজকে আপনারা অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী হিসেবে সমিতি করেছেন। এটা অত্যান্ত ভালো কাজ করেছেন। বৃদ্ধ বয়সে এই সমিতির মাধ্যমে একত্রে বসতে পারবেন, একাকি জীবন অনেক কষ্টের। এক সময় চাকরী করতেন, সকালের প্রস্তুতি শেষে যার যার অফিস করতেন। এখন সারাদিন অবসর জীবন কাটছেন, এই সময়টা অনেক কষ্টের। আমি অনুরোধ করবো, আপনারা এই সমিতিতে মাসে একবার হলে একত্রে বসবেন। একে অপরের পরিবারের খোজ খবর নিবেন জানবেন। আল্লাহকে খুশি করার জন্য মানুষের পাশে দাড়াতে হবে। আমি সারাটি জীবন মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করছি। বার বার জনপ্রতিনিধি হওয়ার চেষ্টা করেছি, বার বারই ব্যর্থ হয়েছে। জনপ্রতিনিধি বা কোন স্থানে বড় পদে না থাকলে মানুষের পাশে দাড়ানো সম্ভব হয় না। একটা মসজিদ মন্দির, রাস্তা ঘাট, মানুষের ভালো খোজখবর নেয়া যায় না। শেখ হাসিনা আমাকে নিয়ে উপলদ্ধি করেছেন, যে আনোয়ার একটি স্থানে দিতে। আনোয়ার হোসেন এমপি মেয়র চেষ্টা করেছে, তাকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব দিয়েছেন।
সোমবার (২২ আগষ্ট) জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী কল্যাণ সমিতির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন-২০২০-২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এক সময় জেলা পরিষদ কি মানুষ বুঝতো না। আমি দায়িত্ব নেয়া পর থেকে জেলা পরিষদের পরিচিতি ও উন্নয়ন চারিদিক ছড়িয়ে দিয়েছি। তার জন্য মানুষ আমাকে অনেক ভালোবাসে ও মানুষ আমার জন্য দোয়া করে। আমি দেওভোগ মাদ্রাসায় শিক্ষা গ্রহণ করেছি, আমার ইচ্ছা ছিলো আমি ওই প্রতিষ্ঠানে ভবন করে দিবো। মহান আল্লাহ, আমাকে সেই ভবন নির্মাণ করার সক্ষম হয়েছি। ডায়াবেটিকস সেন্টারে অত্যাধুনিক মেশিন দিয়েছি। আমার দায়িত্ব জানুয়ারী মাসে চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন শেষ করেছি। এখন আমি অতিরিক্ত সময়ের জন্য আছি, অক্টোবর পর্যন্ত আমরা ক্ষমতা রয়েছি। আপনাদের ভালোবাসা ও দোয়ায় যদি নেত্রী আমাকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনোয়ন দেন, তাহলে আপনাদের কাঙ্গিত উন্নয়ন করবো। আমি এখন আপনাদের কোন আশা দিতে পারবো না, যদি অন্য কেউ চেয়ারম্যান হলে তিনি যদি না করেন? আপনাদের বসার জন্য জেলা পরিষদের কোন জায়গা থাকলে, যদি সম্ভব হয় দিবো। জেলা পরিষদের অনেক জায়গা প্রভাবশালীরা দখল করে খাচ্ছে। ইতিমধ্যে সওজ ও সিটি কর্পোরেশন রাস্তা জন্য চেয়েছি, তাদের সেগুলো দিয়েছি। আগামী যদি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়, অনেক জায়গা দখলমুক্ত করবো।
আনোয়ার বলেন, বাংলাদেশ স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা করা হয়েছিলো- তারা পাকিস্তানের আস্থাভাজন। সেই আস্থাভাজনদের গাড়ী পতাকা তুলে দিয়েছিলো বিএনপি। বাংলাদেশ উন্নয়নে শেখ হাসিনা রাত দিন কাজ করে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংক যে অভিযোগ করে ছিলেন, তার মিথ্যা প্রমাণ করেছেন। তিনি নিজেদের টাকা নিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে মানুষের জন্য উন্মুক্ত করেছেন। বিশ্ব নেতারা আজ বঙ্গবন্ধু ফলো করে তাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিন মন্টু সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন, মোঃ আকরাম আলী মৃধা, এ ওয়াই এম হাসমত উল্লাহ ও ডাঃ এস এম মোসাদ্দেক প্রমুখ।