নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। তারা কাজ করে স্বাধীনভাবে। কখনো কারও কথায় কাজ করে না। আগের কমিশনে আপনারা দেখেছিলেন একজন বের হয়ে গিয়ে উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলতেন। এবার কিন্তু তা হচ্ছে না আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। যা বলবেন একজনই বলবেন। আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কথা বলেন। সারাদেশে একই মেসেজ যায়। ভিন্ন ভিন্ন মেসেজ যাওয়া উচিত নয়। জনগণকে বিভ্রান্ত করা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।
শুক্রবার (২০ মে) বেলা ১১টার দিকে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হল রুমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের উদ্বোধন ও স্মার্টকার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিছুর রহমান আরও বলেন, আমরা চাই জনগণের অধিকার জনগণ প্রতিষ্ঠা করবে। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব- এমন একটা স্লোগান এক সময় চলছিল। আমরা সেই জায়গায় আবার ফিরে যেতে চাই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেটাই হবে। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা কাজ করার জন্য এসেছি। কাজ যদি করতে না পারি, শুধু শুধু চেয়ার দখল করে বসে থাকবো না। এটা আমাদের কমিশনের মেসেজ।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রেখেছি। এখন কোনো দলকে নির্বাচনে আনা বা না আনা এটা আমাদের বিষয় না। তারপরও আমরা নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলার জন্য আমন্ত্রণ জানাবো, একাধিকবার আমন্ত্রণ জানাবো। তারপর তারা আসবে কি আসবে না তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। রাজনৈতিক পরিস্থিতি কখন কি হয় তা বলা যায় না। আমাদের দায়িত্ব হল সকলকে নিয়ে নির্বাচন আয়োজন করা।
আনিছুর রহমান বলেন, ইভিএম নিয়ে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। আমাদের কাছে যা ইভিএম আছে তা দিয়ে সব আসনে নির্বাচন কারানো সম্ভব না।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান, নির্বাচন কমিশনের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মোস্তফা জামান, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদেকুর রহমান খোকা সিকদারসহ জেলার বিভিন্ন পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান ও জন প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।