বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
বক্তাবলী রাজাপুর ঘাটের ইজারা পেলেন শরীফ হোসেন মানিক রূপগঞ্জে ট্রাক চাপায় ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী নিহত মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের চলমান বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে বিশেষ সভা কেউ হুংকার দিবে গডফাদার হয়ে যাবে, বিএনপি হতে দেবে না: মামুন মাহমদ বন্দরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন ফল ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ বন্দর উপজেলার বিভিন্ন কাজের শুভ উদ্বোধন করলেন- জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও অধিকার আদায়ে দলকে শক্তিশালী করতে হবে : গিয়াসউদ্দিন হোয়াটসঅ্যাপে নতুন সুবিধা, স্ক্যান করা যাবে নথিপত্রও কড়ই গাছের ভেতরে জ্বলছে আগুন, নেভাতে ব্যর্থ ফায়ার সার্ভিস ৭ গোলের থ্রিলার ম্যাচে আল হিলালের ইতিহাস, ম্যানসিটির বিদায়

নির্বাচনে প্রার্থীর সর্বোচ্চ খরচ ২৫ লাখ, ভোটারপ্রতি ১০ টাকা

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩, ৩.৫৮ এএম
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে

রাজনৈতিক দল থেকে পাওয়া খরচসহ কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনে ২৫ লাখ টাকার বেশি খরচ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া, প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ভোটারপ্রতি নির্বাচনী ব্যয় ১০ টাকা নির্ধারণ করেছে ইসি।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সই করা এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৪৪খ এর দফা (৩) এর অধীন মনোনয়নদানকারী রাজনৈতিক দল হইতে গৃহীত খরচসহ কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী খরচ ২৫ (পঁচিশ) লাখ টাকার অধিক হইবে না এবং যেহেতু নির্বাচনী ব্যয় ভোটার প্রতি হারে নির্ধারিত হওয়ার বিধান রহিয়াছে, সেহেতু, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ভোটার প্রতি নির্বাচনী ব্যয় ১০/-(দশ) টাকা নির্ধারণ করিল।’

তবে ভোটার সংখ্যা যাই হোক, কোনো নির্বাচনী এলাকার প্রার্থী ব্যয় সর্বোচ্চ ২৫ (পঁচিশ) লাখ টাকার বেশি হবে না।

এদিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, যে দল থেকে সর্বোচ্চ ৫০ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেবে, সে দল সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবে। ১০০ প্রার্থীর জন্য সর্বোচ্চ দেড় কোটি টাকা করা যায়। ২০০ প্রার্থীর জন্য তিন কোটি টাকা এবং ২শর বেশি প্রার্থী দিলে সংশ্লিষ্ট দল সর্বোচ্চ সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয় করতে পারে।

দলগুলো চাঁদা ও অনুদান অন্যান্য থেকে আয় করতে পারে। তবে নির্বাচনে ব্যয় করতে হয় নির্ধারিত খাতে। এক্ষেত্রে পার্টি প্রধানের ভ্রমণ, পোস্টার, প্রচার কাজের জন্য ব্যয় করতে হয়।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৪৪ সিসিসি-বিধি অনুযায়ী, ভোটের ফলাফল গেজেটে আকারে প্রকাশের পর ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। এটা অমান্য করলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করতে পারে ইসি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও প্রার্থীর সর্বোচ্চ ব্যয় ২৫ লাখ টাকা এবং ভোটার প্রতি ব্যয় ১০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল।

আরপিও অনুযায়ী, নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশের ৩০দিনের মধ্যে ব্যয়ের হিসেব সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে দিতে হয়। কোনো প্রার্থী নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব নির্ধারিত সময়ে মধ্যে নির্বাচন কমিশনে জমা না দিলে, তার বিরুদ্ধে মামলার করার বিধান রয়েছে।

২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যথাসময়ে ব্যয়ের হিসাব না দেওয়ায়, তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল ইসি। সে সময় ভোটার প্রতি ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮ টাকা। যদিও সেবারও সর্বোচ্চ ব্যয় ছিল ২৫ লাখ টাকা।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের সময় প্রার্থীর ভোটার প্রতি গড় ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫ টাকা। আর সর্বোচ্চ ব্যয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল ১৫ লাখ টাকা।

সিইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort