সারা বছরই নারায়ণগঞ্জে চাহিদা রয়েছে টক দই এর। রোজায় সেই চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু আমদানীর পদ বন্ধ হওয়ায় হাড়ি প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে দইয়ের দাম।
নারায়ণগঞ্জের দ্বিগুবাবুর বাজার ঘুরে মঙ্গলবার (৫ এ্রপ্রিল) বিকালে এমন তথ্য জানা যায়।
কয়েক দিন পূর্বেও ১০ কেজির এক হাড়ি টক দই বিক্রি হতো ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। এখন সেই টক দই বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা করে। খুচরায় সেই টক দই বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকাতে।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর থেকে মুন্সীগঞ্জ, চাঁদপুর, মতলব, মোহনপুর, শরীয়তপুরসহ ছয়টি রুটে প্রায় ৭০টি ছোট ছোট লঞ্চ চলাচল করত। প্রায় ৩০ বছরের বেশি পুরনো ও লক্কড়ঝক্কড় মার্কা এসব লঞ্চ প্রতি বছরই দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ঘটে প্রাণহানি। ২০২১ সালে ৪ এপ্রিল এসকেএল থ্রি মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ সাবিত আল হাসান ডুবে ৩৪ জন এবং চলতি বছরের ২২ মার্চ রূপসী বাংলা ৯ মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় এমএল আফসার উদ্দিন ডুবে ১০ যাত্রী নিহত হন। এ দুর্ঘটনার পর থেকেই নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বিআইডব্লিউটিএ ছোট লঞ্চ চলাচলে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে। গত ৩ এপ্রিল নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সভা শেষে এ ছোট লঞ্চ চলাচলের ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়।
বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর এবং চাঁদপুর নৌরুটে একটি করে বড় লঞ্চ চলাচল করছে।
দ্বিগুবাবুর বাজারের দোকানী জানান, দই গুলো শরীয়তপুর থেকে লঞ্চে নারায়ণগঞ্জ আসে। আগে ঘন্টায় ঘন্টায় লঞ্চ পাওয়া গেলেও এখন, সারাদিনে একটি লঞ্চ আসছে। তার উপর রোজায় চাহিদা বেড়েছে। তাই শরীয়তপুর থেকেই দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে হাড়ি প্রতি ৫০ টাকা। তাই আমরা হাড়ি ৫‘শ টাকায় বিক্রি করছি, আর কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকা।