মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

না.গঞ্জে ৫ হাসপাতাল ও ক্লিনিক সিলগালা

  • আপডেট সময় সোমবার, ৩০ মে, ২০২২, ৪.৫৮ এএম
  • ১৬৪ বার পড়া হয়েছে

হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক নারায়নগেঞ্জর অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে অভিযানে নেমেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। রবিবার (২৯ মে) বিকালে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুশিউর রহমানের নেতৃত্বে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সিদ্ধিরগঞ্জ ও সদর থানা এলাকায় মোট ৮টি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ফিজিও থেরাপি সেন্টারে বিকাল ৪ টা থেকে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টা ব্যাপি অভিযান পরিচালনা করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এসময় পাঁচটি হাসপাতাল ও ক্লিনিককে সিলগালা ও একটি ফিঝিও থেরাপি সেন্টারকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটে ও সহকারি কমিশনার মোসা. জেসমিন নাহারের তত্বাবধানে সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকায় পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে অভিযানে গেলে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে এই হাসপাতালটিকে সিলগালা করা হয়। একই এলাকার মিরাকেল হেলথ্ কেয়ার হাসপাতালের কোন অনুমোদন দেখাতে না পারায় তাদের পাঁচ হাজার টাকা জড়িমানা করে ২৪ঘন্টার মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে নির্দেশনা করা হয়েছে।

এদিকে, সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাংরোড এলাকায় মমতা চক্ষু হাসপাতাল, মমতা স্পেশালাইজড ডেন্টাল কেয়ার, সদর থানা এলাকার নবাব সলিমুল্লাহ রোডের মেডিভিশন আই হসপিটালকে সিলগালা করা হয়েছে। অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবর অনুমোদনের ব্যাংক জমার রশিদ থাকায় সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলের এসও রোড এলাকায় মা সুফিয়া জেনারেল হাসপাতালকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অনুমোদনের আবেদনের জন্য ৪৮ ঘন্টার সময় দেয়া হয়। তবে এই হাসপাতালটিতে কোন জড়িমানা করা হয়নি।

অভিযান পরিচালনা শেষে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোহাম্মদ মুশিউর রহমান জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অবৈধ ভাবে যেসকল ক্লিনিক গুলো পরিচালিত হচ্ছে তাদের প্রতি জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছে। অবৈধ ক্লিনিকগুলো বন্ধ করার জন্য একযোগে কাজ করছি। আমাদেরকে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল, তবে এই প্রকৃয়া চলমান থাকবে। অভিযানের খবর পেয়ে ২টি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ পালিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, কোথাও কোন অবৈধ ক্লিনিক ও হাসপাতালের খোঁজ পেলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করলে বিধি মোতাবেক তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটে ও সহকারি কমিশনার মোসা. জেসমিন নাহার, জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোহাম্মদ মুশিউর রহমান, ঝেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশের সদস্যরা।

উল্লেখ্য, সাড়াদেশের সকল অবৈধ হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই সময়ের পর নিবন্ধনহীন কোনো হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানায় সংস্থাটি। গত বৃহস্পতিবার (২৬ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort