নিজস্ব প্রতিনিধি- নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ১১ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃত্বে যারা ছিলেন তাহারা বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার দ্বারা অনেকেই মিথ্যা মামলা, হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তবুও বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর নেতাদের দলীয় দিক নির্দেশনা এবং কর্মসূচি পালন করতে তৃনমুল কর্মী সর্বদাই রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন। এই কর্মসূচী পালন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় লোকদের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বিএনপির অনেকেই পরিবার পরিজন ছেড়ে জীবন বাঁচানোর জন্য গৃহ ত্যাগ করে অমানবিক জীবন কাটিয়েছেন। কিন্তু বিএনপির অনেকে আবার দলীয় নির্দেশনা পালন না করে ভোল পাল্টে নিজস্বার্থে আওয়ামী দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে রাতের আঁধারে ও প্রকাশ্যে সু সম্পর্ক রেখে বুক ফুলিয়ে সর্বত্র চলাফেরা করেছেন এমনটাও দেখা গেছে। এ সকল সুবিধাবাদী ভোল পাল্টানো বিএনপির কতিপয় লোকজন বর্তমানে বিএনপির বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করে নিজেদের দলীয় অবস্থান মজবুত করতে মাড়িয়া হয়ে উঠে পড়ে লেগেছেন। অনেকে আবার জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দের সাথে সক্ষতা তৈরি করে পদ পদবী পেতে দৌড় ঝাপ চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও ত্যাগী কর্মীদের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি নাসিক ১১ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটিতে স্থান পেতে সুবিধাভোগী আজিজুল হক ভূইয়া টিল্টু(৪৮) পদ পদবী পেতে দৌড় ঝাপ করে চলছেন বলে স্হানীয় কর্মীদের অভিযোগ উঠে এসেছে।
নাসিক ১১ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন তৃনমুল কর্মী আক্ষেপ করে বলেন, দীর্ঘ বছর আগে মাসুদ রানাকে সভাপতি করে নাসিক ১১ নং ওয়ার্ড এর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর পর আর কোন নতুন করে কমিটি গঠন করা হয়নি। সেই কমিটিতে যাহারা ছিলো তাদের মধ্যে অনেকেই দলীয় কর্মসূচি পালনে সাহসীকতার সাথে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেছেন আবার অনেকে আওয়ামী লীগের সাথে সু সম্পর্ক রেখে চলাচল করেছেন। বর্তমানে এই সময়ে নাসিক ১১ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি গঠনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন রানা ও সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি গঠনের প্রস্ততি চলছে বলে জানা যায় । এ লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন রানা’র নিকট তৃনমুল কর্মীরা গণমাধ্যমের মধ্য দিয়ে দাবী রাখেন, কমিটিতে যেনো কোন মুখোশধারী সুবিধাবাদীরা স্থান না পায়। যারা এতদিন রাজপথে লড়াই সংগ্রাম করে মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে দলীয় নেতাদের কর্মসূচি পালনে ভূমিকা রেখেছেন তাদের যেনো মূল্যায়ন করা হয়।
তৃনমুল কর্মীরা আক্ষেপ ও অভিযোগের সুরে আরো বলেন, ইদানীং তল্লা এলাকার একজন প্রভাবশালী বিএনপি নেতার সহযোগিতায় সুবিধাবাদী ছদ্মবেশী আজিজুল হক ভূইয়া টিল্টু নামের একজন ব্যক্তিকে আমরা বিএনপির বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচির প্রথম সারিতে দেখতে পাই। কিন্তু এই টিল্টু আওয়ামী লীগের সময়ে বিএনপির দলীয় কোন কর্মসূচি পালনে আমরা তাহাকে তেমন কোন ভূমিকা পালন করতে দেখিনি বরং আওয়ামী লীগের লোকজনের সাথে গোপন সম্পর্ক বজায় রেখে আমাদের কর্মসূচি পালনে বাধা সৃষ্টি করেছে বলে আমরা জানি। অথচ সেই টিল্টু এ সময়ে নিজের রুপ পাল্টিয়ে এখন নিজেকে ত্যাগী হিসেবে সকলের নিকট উপস্থাপন করার ব্যর্থ চেষ্টা করে চলছে। আমরা চাই এ রকম লেবেশধারী লোকজন যেনো কোন প্রকারে কমিটিতে প্রবেশ করতে না পারে। তাদের মতো লোক সুবিধা পেলে প্রকৃত কর্মীদের অবমূল্যায়ন করা হবে বলে আমাদের মতামত।তাই টিল্টু’র বিষয়ে সবকিছু যাচাই বাঁচাই করে যেনো জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।