নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে দুই, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে একজন ও সাধারণ কাউন্সিল পদে ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া মেয়র প্রার্থীরা হলেন কামরুল ইসলাম ও সুলতান মাহমুদ। তারা দুজনই স্বতন্ত্র প্রার্থী।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার এ ঘোষণা দেন। ফলে মেয়র পদে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ৬।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান বলেন, ঋণখেলাপির অভিযোগ ও তার সমর্থনে সংযুক্ত ভোটার তালিকায় তথ্য সঠিক না থাকায় কামরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এদিকে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সুলতান মাহমুদের সমর্থনে সংযুক্ত ভোটার তালিকাতেও তথ্য সঠিক না থাকায় তারও মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
অপরদিকে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী একজন ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ৪ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে। ফলে বৈধ ঘোষিত সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর সংখ্যা ৩৫ ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর সংখ্যা ১৬২ জন।
বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন, ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী দিলারা মাসুদ ময়না, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ফকির উল্লাহ, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থী সুলতান উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া (বর্তমান কাউন্সিলর) ও কাজী জহিরুল ইসলাম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান জানান, বাতিল হওয়া কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সাথে জমা দেওয়া আয়কর হিসাব ও ব্যাংক হিসাবে গড়মিল পাওয়া গেছে। তাদের ব্যাংক ঋণও রয়েছে। এ কারণে তাদের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। তবে তাদের আপিল করার সুযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সিটি নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৭ ডিসেম্বর এবং ভোট গ্রহণ আগামী বছরের ১৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করে এ তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।