রুদ্রবার্তা২৪.নেট: মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান সিটি নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় জেলা আদালতের পাশে নিজের চেম্বারে সংবাদ সম্মেলন ডেকে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বিএনপির দলীয়প্রধান বেগম খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে। তার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের আন্দোলনে দল। এমন সময় অবৈধ সরকারের ফাঁদে পা দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়াটা সেই আন্দোলনের সাথে পরিহাসের সামিল বলেও মনে করেন বিএনপির এই নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমাদের মা (খালেদা জিয়া) যখন সুস্থ ছিলেন তখন তিনি আমাকে নির্বাচনে অংশ নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন, আমি সে নির্দেশ পালন করেছি। আজ আমাদের মা মৃত্যুশয্যায় থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আমি একজন জিয়ার সৈনিক হিসেবে সে নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো। তাই দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন আর শ্রদ্ধা রেখে আমি এই ভোটারবিহীন অবৈধ সরকার ও তার অজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিতব্য নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করবো আমার মতো নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সকল সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এই নির্বাচন থেকে সরে আসবে। কারণ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির দেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের যে আন্দোলন চলছে, সেইসাথে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে দাড়ানো বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের আন্দোলন যখন একটি চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত, তখন এই অবৈধ সরকারের ফাঁদে পা দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়াটা সেই আন্দোলনের সাথে পরিহাসের সামিল বলে আমি মনে করি। তাই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বেগবান করতে সকল জিয়ার সৈনিককে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানাচ্ছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দল এই সরকার, নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো প্রকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। আমাদেরও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কোনো পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে। আমি মনে করি আমাদের দলে যে পর্যায়ের ব্যক্তিরাই হোক এ নির্বাচন থেকে বিরত থাকবেন এবং দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে চলবেন। আমি দলের নীতি নির্ধারক কমিটির সঙ্গে কথা বলেছি তারা বলেছেন, দল আগের সিদ্ধান্তে বহাল আছে। যদি কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সেটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। তবে স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থীর তাদের দলীয় কোনো সমর্থন নাই। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কোনী কাজে আমি অংশগ্রহণ করবো না। আমি মনে করি কোনো নেতাকর্মীরাও অংশগ্রহণ করবেন না।